মামুনুর রশীদ মামুন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। ওই গৃহবধু উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে ফাতেমা বেগম। মৃত্য ফাতেমার মরদেহ রোববার সকালে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যাক্তা ফাতেমা বেগমের (২১) ৩ মাস আগে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের শাহিবাজার এলাকার ফরিদুল মেকারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফাতেমার আগের ৩টি বিয়ের কথা প্রকাশ পেলে তাদের পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এই কলহের জেরে গত ৭ জানুয়ারী ফাতেমাকে মারপিট করে স্বামী ফরিদুল। এতে ক্ষোভে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যায় ফাতেমা। গতকাল শনিবার দুপুরে ফরিদুল ফাতেমাকে আনতে শশুর বাড়ি মোল্লাপাড়ায় যায়। এসময় ফরিদুলকে শশুর বাড়ির লোকজন মারপিট করে ঘরে আটকিয়ে রাখে।
এদিকে ফরিদুলকে সবার অজান্তে আটকদশা থেকে ছাড়িয়ে দিলে ফাতেমাকেও মারপিট করে তার পরিবারের লোকজন। এতে ক্ষোভে শনিবার বিকালে বিষপান করে ফাতেমা। বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় পরিবারের লোকজন। সন্ধ্যায় মারা যায় ফাতেমা। খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ রাতেই ফাতেমার মরদেহ থানায় নিয়ে আসে এবং রবিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম পাঠানো হয়েছে। আর এ বিষয়ে কচাকাটা থানা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।