হালদা নদীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ করার সবগুলো বৈশিষ্ট্য হালদা নদীতে রয়েছে। তাই বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে হালদা নদীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা এখন সময়ের দাবি।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর গড়দুয়ারা নতুনহাট এলাকায় হালদা নদী (বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ) রক্ষায় এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি করেন। হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিএফ’র নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হালদা নদী রক্ষা কমিটির সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ।

হালদা নদী রক্ষা কমিটির আয়োজন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন নর্থ আমেরিকা ইন্ক এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি ছিলেন চবি এলামনাই এসোসিয়েশন নর্থ আমেরিকা ইন্ক উপদেষ্টা মাহমুদ আহমেদ, হালদা নদী রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা আমেরিকান প্রবাসী মো. আবু ইউসুফ, আইডিএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রফেসর শহীদুল আমিন চৌধুরী, চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য মুবিনুল হক, বিএমএ জাতীয় কাউন্সিলর ডা. ইমতিয়াজ উদ্দিন নাহিদ, রাজিব চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক আবু তালেব, খোরশেদ আলম শিমুল, মনসুর আলী, ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর প্রমুখ। পরে অতিথিবৃন্দ হালদার ডিম সংগ্রহকারীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

সভায় বক্তারা বলেন, হালদাকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করায় সরকারকে ধন্যবাদ। এটি একটি সময়োপযোী সিদ্ধান্ত। এ নদীকে ঘিরে প্রশাসন, মৎস্য, পরিবেশ, বন, কৃষি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ নদী শুধু রুই জাতীয় মাছের প্রজননের জন্য নয়, হালদার সুপেয় পানি নিয়ে নগরীতে সরবরাহ দিচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। তাই হালদা রক্ষায় সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।

 

কলমকথা/বি সুলতানা