পৃথিবীজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইনস ডে। অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশেষ গুরুত্বের সাথে পালিত হচ্ছে দিবসটি। ১৪ ফেব্রুয়ারি অনেকের কাছে আকাঙ্ক্ষিত ও দীর্ঘ অপেক্ষার দিবস। এ দিনে ফুল, কার্ড আর নানান উপহার সামগ্রী দিয়ে ভরিয়ে দেয় প্রিয় মানুষ ও খুব কাছের মানুষকে।
পশ্চিমা রীতির আদলে আমাদের দেশে বেশ ঘটা করে উদযাপিত হয়ে থাকে ভালোবাসা দিবস। বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের কাছে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। মনের মানুষের কাছে প্রণয়ের কথা নিবেদনের জন্য বেছে নেয় এ দিনটিকে। দৃশ্যত মনে হয়, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটি মূলত প্রণয় নিবেদনে ফুলের আদান প্রদান ও দিন কেন্দ্রীক দিবসের আনুষ্ঠানিক উদযাপন। আসলে এটাই কি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রকৃত তাৎপর্য ও শিক্ষা? যখন এই বিশ্ব ভালোবাসার পৃথিবীতে, সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত আলোকচিত্রী রেনে রবার্ট ঠান্ডায় জমে প্যারিসের রাস্তায় পড়ে ছিলেন নয় ঘণ্টা, কিন্তু কেউ তার দিকে ফিরেও তাকায়নি। অতঃপর তার নির্মম মৃত্যুও বিশ্ব বিবেককে তাড়িত করেনি।
পৃথিবী ক্রমেই মানব জাতির ওপর নিষ্ঠুর হয়ে ওঠছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো গরীব দেশসমূহের প্রতি ব্যাপক বৈষম্য, নিষ্ঠুরতা ও অমানবিকতার আচরণ করছে। একইভাবে গরীব দেশগুলোও তার নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুর ও অমানবিক হয়ে ওঠছে। মানুষ হয়ে ওঠছে অধিকার বঞ্চিত, অবহেলিত। শরীরের সাথে আত্মার সম্পর্ক প্রকৃতিগতভাবেই ঘনিষ্ট, সৃহৃদয়, মানবিক ও গভীর ভালোবাসার। এই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার নয়। আত্মার বিচ্ছিন্ন মানেই শরীরের মৃত্যু অনিবার্য্য।
মানবজাতিও ঠিক পৃথিবীর আত্মা মতোন। অকৃত্রিম, গভীর ভালোবাসার সর্ম্পক। আর এই পৃথিবী যদি হয়ে ওঠে যুদ্ধংদেহী, নিষ্ঠুর, নির্দয় ও অমানবিক তাহলে মানবাত্মার বিচ্ছিন্ন ঘটবে। পৃথিবী হয়ে ওঠবে মানবশূন্য। হারাবে তার অস্তিত্ব। সুতরাং আজকের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দাবি হচ্ছে পৃথিবী হয়ে ওঠুক মানবিক ও বিশ্ব ভালোবাসার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।