দিনাজপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ থানা হিসেবে পরিচিত বিরামপুর থানা। সেই গুরুত্বপূর্ণ থানায় গত ২৫ মে ২০২১ইং তারিখে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন সুমন কুমার মহন্ত। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত যোগদানের পর থেকেই পাল্টে যায় বিরামপুর থানার চিত্র। আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যদিয়ে তিনি বিরামপুর থানার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বেশকিছু উল্লেখযোগ্য অভিযান পরিচালনা করে যেমন আলোচনায় আসেন, তেমনি কিছু সমালোচনার মধ্যে পরেন।কিন্তু সমালোচনার কোন তোয়াক্কা না করে মাদক, জুয়া, চুরি ও বাল্যবিবাহমুক্ত শান্তির জনপদ হিসেবে বিরামপুর থানাকে গড়তে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ওসি সুমন কুমার মহন্ত। বিরামপুর উপজেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ,আইন-শৃঙ্খলা,মাদক,জুয়া,চুরি নিয়ন্ত্রনে ওসি সুমন কুমার মহন্তের ভূমিকা সর্বস্তরে প্রশংসনীয়। এছাড়াও তিনি সফলতার সাথে আইন-শৃঙ্খলা, মাদক, জুয়া, ও বিভিন্ন চুরি অভিযান পরিচালনা করে সক্ষমতার পরিচয় দেওয়ার কারণে একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং সাথে পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা। সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনাকালীন সময়ে বিরামপুর উপজেলার কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি এবং বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাতও। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে জনসচেতনা মূলক লিফলেট, মাস্ক বিতরণ থেকে শুরু করে, অসহায়দের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণেও বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ওসি সুমন কুমার মহন্ত। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা,বাল্যবিবাহ মাদক,জুয়া,চুরি স্বর্গরাজ্যখ্যাত বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন আগের তুলনায় (আইন-শৃঙ্খলা,বাল্যবিবাহ মাদক, জুয়া,চুরি) নির্মূলের দ্বারপ্রান্তে। শুধু তাই নয়, তিনি যোগদানের পর থেকে থানা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডও দিনদিন কমে আসতে শুরু করেছে। তিনি ওসি হিসেবে যোগদানের পর বিরামপুর থানা এখন প্রায় দালালমুক্ত। তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, তার কোন ছাড় নেই। অপরাধীরা যেন, অপরাধ করে পার না পায় সে বিষয়েও তিনি কঠোর অবস্থানে থাকবেন। মাদক ব্যবসায়ী,চুরি, জুয়ারীদের কাছে ওসি সুমন কুমার মহন্ত এখন এক আতংকের নাম। ওসি সুমন কুমার মহন্ত দৈনিক কলম কথাকে বলেন, পুলিশ সর্বদাই জনগনের বন্ধু ও জনগনের জানমাল রক্ষার প্রহরী। পুলিশ-জনতা যদি এক সাথে মিলে কাজ করি এবং জনগণ যদি পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করে তাহলে দেশ থেকে অপরাধ কমে যাবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। আমি মনে করি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করাই পুলিশের কাজ। কর্মজীবনে আমি নিজেকে মানবসেবক হিসেবে পরিচিত করতে চাই এবং মানুষের সেবার কল্যাণে নিজেকে কাজে লাগাতে চাই। তাই আমি যেখানে যাই আমার কর্মদক্ষতার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সর্বদা কাজ করি। আমি সর্বদাই মনে করি, থানা হোক সাধারণ মানুষের সেবার আশ্রয়স্থল। সেজন্য আমি আমার অধিনস্থ অফিসারদের সর্বদা নির্দেশ দিয়ে থাকি তারা যেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করে। আমি বিরামপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর থেকে আমার সাধ্যমত যতটুকু পেরেছি আইন-শৃঙ্খলা, মাদক, জুয়া, ও বিভিন্ন চুরি নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমি যদি দীর্ঘসময় পাই বিরামপুর থানাকে শান্তির জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবো।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।