রাজবাড়ীতে পড়তে গেলে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। পরে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রাইভেট শিক্ষকের নাম আসলাম ব্যাপারী (২৭)। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের রাজু ব্যাপারীর ছেলে।

বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন।

ওই স্কুলছাত্রী জানায়, সে তার প্রাইভেট শিক্ষক আসলাম ব্যাপারীর কাছে গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়ার কিছুক্ষণ পর শিক্ষক আসলাম ব্যাপারী তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। তখন সে কান্নাকাটি করলে আসলাম ব্যাপারীর বোন রোজিনা তাকে বলে তুমি এ বিষয়টি কাউকে বলো না, তোমার স্যারের সঙ্গে তোমাকে বিয়ে দিয়ে দেব।

সে বলে, আমি বাড়িতে চলে আসার পর আমার হাঁটাচলা ও মন খারাপ দেখে অভিভাবকরা আমার কাছে তার কোনো কিছু হয়েছে কিনা জানতে চান। তখন আমি তাদের কাছে সে দিনের ঘটে যাওয়া সব ঘটনা খুলে বলি। পরে এ ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য এলাকার কিছু গণ্যমান্য লোকজন সালিশ করার কথা বলে আমার আব্বাকে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এর মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক আসলাম ব্যাপারী আত্মগোপনে চলে যান। যে কারণে আমার বাবা রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা অভিযুক্ত আসলাম ব্যাপারী ও তার বোন রোজিনা বেগমের (২৪) বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং অভিযুক্ত আসলাম ও তার বোনকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।