সাড়ে ছয় বছর পর রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্মেলনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারণায় উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে উপজেলার অলিগলি। পদপ্রত্যাশী প্রবীণ ও নবীন নেতাদের পোস্টার, ব্যানার আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে দলীয় কার্যালয়সহ পুরো উপজেলা। নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক তোরণ।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৯ মে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাড়ে ছয় বছর পর হতে যাওয়া সম্মেলনকে ঘিরে প্রতিদিন বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা দলের উপজেলা কার্যালয়ে ভিড় করছেন।

রোববার বেলা ১১ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় মাঠে বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের শুভ উ‌দ্বোধন কর‌বেন জেলা আ.লী‌গের সভাপ‌তি বীরমু‌ক্তি‌যোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক। বাংলা‌দেশ আ.লী‌গের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কা‌দের ভার্চুয়া‌লি প্রধান অ‌তি‌থি হি‌সে‌বে বক্তব্য দে‌বেন।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় আ.লী‌গের প্রে‌সি‌ডিয়াম সদস্য কৃ‌ষি মন্ত্রী ড.আবদুর রাজ্জাক এমপি, আ.লী‌গের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু ম‌নি এমপি, ঢাকা বিভা‌গের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মির্জা আজম এম‌পি ও জেলা আ.লী‌গের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড‌ভো‌কেট জোয়া‌হেরুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ অনুপম শাহজাহান জয়, ডেসকো পরিচালক প্রকৌশলী আতাউল মাহমুদ প্রমুখ উপ‌স্থিত থাক‌বেন।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে উপজেলার প্রথম সারির নেতারা নিজেদের প্রচার-প্রচারণায় পুরো উপজেলাজুড়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ঝুলিয়েছেন। হাইব্রিডদের বাদ দিয়ে দলের প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে উপজেলা কমিটি গঠনের দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মতিয়ার রহমান গাউস, উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি একে আজাদ খানশুর, পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আহম্মেদ। এছাড়াও কাজী অলিদ ইসলামের নাম আলোচিত হচ্ছে।

সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সুজন খানশুর, মির্জা রাজিক, আলহাজ মোমেন জমাদার, জাদিদুর রহমান রোনু, হাবিবুর রহমান চৌধুরী হবি, সাত্তার জমাদার, আল মামুন খান নবু, শাহাদত হোসেন খান, আবু হানিফ ও মোস্তফা খান রাজিব।এছাড়াও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আরও একাধিক প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মতিউর রহমান গাউস বলেন,সম্মেলন সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। আট হাজার ডেলিগেট ও কাউন্সিলরের জন্য রয়েছে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 

কলমকথা/সাথী