গ্রাহকের প্রায় ২০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা নরসিংদীর শাহ সুলতান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি। মোটা অঙ্কের মুনাফার লোভ দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে তারা। কিছুদিন চুক্তিমতো মুনাফা দিলেও একপর্যায়ে সটকে পড়ে কোম্পানির লোকজন। লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এখন পথে বসেছেন হাজারো গ্রাহক।
সংসারের দৈন্যদশা ঘোচাতে, একটু সচ্ছল হওয়ার আশায়, কষ্টের টাকা বিনিয়োগ করে এখন মাথায় হাত। প্রতারক কোম্পানির খপ্পরে পড়ে সব হারিয়ে পাগলপ্রায় এ মানুষজন।
নরসিংদী শহরের ঘোড়াদিয়া এলাকায় প্রধান কার্যালয় খোলে শাহ সুলতান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। দেয় ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনার আশ্বাস। লোভ দেখায় মোটা অঙ্কের মুনাফার।
শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে সংগ্রহ করে আমানত। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কয়েক বছর মুনাফাও দেয় তারা। এভাবে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে তারা। বাড়তে থাকে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। জেলার তিনটি উপজেলায় তারা গড়ে তোলে শাখা অফিস।
এরপর, ‘করোনার কারণে কিছুদিন অফিস বন্ধ থাকবে’- এমন নোটিশ টাঙিয়ে গ্রাহকের প্রায় ২০০ কোটি টাকা নিয়ে সটকে পড়ে তারা। এখন দিশেহারা হাজারো গ্রাহক। তারা বলেন, আমাদের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে একেবারে সর্বস্বান্ত করে দিছে। আমাদের পথের ভিখারি হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।
টাকা ফেরত পেতে স্থানীয় সমবায় অফিস, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রাহকরা। তদন্তসাপেক্ষে তারা আশ্বাস দিয়েছেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার। জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. সালমান ইকবাল বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেব।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, আইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমবায় অধিদফতরের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শাহ সুলতান মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি নামের এ প্রতিষ্ঠানটি
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।