রাজধানীর বিআরটিএ ভবনের সামনে রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর ১২টায় অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিনা শর্তে সারা বছর ২৪ ঘণ্টা হাফ পাস কার্যকর, নির্ধারিত ভাড়ার বাস্তবায়নসহ আরও ৯ দফা দাবি জানান তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০২১ সালে হাফ পাস ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সড়ক প্রশাসন হাফ পাসের আংশিক দাবি মেনে নেওয়ার লিখিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। কিন্তু এত দিন পরও কোনো দাবিরই সঠিক বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি। এমনকি এখনো সব বাসে হাফ ভাড়া রাখা হয় না।

তারা বলেন, সম্প্রতি রাজধানীতে বিকাশ বাস কর্তৃক ঢাবি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া না নেওয়ার ঘটনাসহ বিভিন্ন সময়েই শিক্ষার্থীদের ভুক্তভোগী হিসেবে দেখা যায়। শর্ত অনুযায়ী, স্কুল-কলেজ বন্ধের দিন ও রাত ৮ টার পর হাফ ভাড়ার কার্যকারিতা না থাকলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের হরহামেশাই শিক্ষা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ছুটির দিন কিংবা রাত ৮টার পর ও গণপরিবহন ব্যবহার করতে হয়। আর এই স্বল্প সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া দেওয়া বা না নেওয়া বাস মালিকদের লভ্যাংশে বড় কোনো প্রভাব না রাখলেও শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে প্রতিনিয়তই সাংঘর্ষিক অবস্থা সৃষ্টি করছে।

সিটিং-ওয়েবিলের মতো অবৈধ পন্থার মাধ্যমে এখনো বিভিন্ন বাসে সব সময়ই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, যেগুলোর যথোপযুক্ত তথ্যপ্রমাণাদি শিক্ষার্থীদের কাছে রয়েছে বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তাদের মতে, সড়কে আহত-নিহতরা এখনো সড়ক আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণসহ পূর্ণ ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। আন্দোলনের সমন্বয়ক ইনজামুল হক রামীম এ সময় তাদের ৯ দফা দাবির আলোকে প্রধান ৪ দফা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।

১। অবিলম্বে বিনা শর্তে বছরের ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের জন্য সব গণপরিবহনে (রেল, নৌ, সড়ক ও আসন্ন মেট্রোরেল) হাফ পাস কার্যকর করতে হবে।
২। সিটিং- ওয়েবিলের নামে অবৈধ পন্থায় বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে।
৩। সড়কে সব আহত – নিহত যাত্রী, পথচারী ও পরিবহন শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৪। ২০২১ সালের আন্দোলনের ৯ দফার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

 

 

কলমকথা/ বিথী