মোঃ তাহেরুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বসুনিয়া হাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিনগুণ বেশী টোল আদায় করার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে।

অতিরিক্ত টোল আদায় করায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে মাঝেমধ্যেই বাগবিতন্ডা হচ্ছে ইজারাদারের আদায়কারীদের।
গরু ব্যবসায়ী মো. শাহিন ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বসুনিয়া হাটে ইজারাদারের লোকজন তিনগুণ টোল আদায় করছে।

একটি গরু কেনাবেচার সরকার নির্ধারিত টোল হচ্ছে ২২০ টাকা। আর এখানে ইজারাদার আদায় করছে ৬০০ টাকা। এতো বেশী টাকা যদি টোল দিতেই যায়। তাইলে ব্যবসা চলবে কিভাবে?

মতিয়ার রহমান নামে এক ছাগল ব্যবসায়ী জানান, আমি প্রতি হাটে কয়েকটা ছাগল কিনি। আবার কিছু লাভ হলে, সেই হাটেই বিক্রি করে দেই। একটি ছাগল কেনাবেচা করতে ১৮০ টাকা টোল দিতে হয়। অথচ ছাগলের সরকার নির্ধারিত টোল হচ্ছে মাত্র ৬০ টাকা। প্রতিবাদ করলেই ইজারাদারের লোকজন ধমক দেয়। এতে মাঝে মধ্যেই আমাদের সাথে ইজারাদারের লোকজনের ঝামেলা হচ্ছে।

রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদে আদায়কৃত টোলের মূল্য লেখা হচ্ছে না। টোলের মূল্য লিখতে বললেই ইজারাদারের লোকজন ধমক দিচ্ছে।

মো. নাজমুল ইসলাম নামের এক টোল আদায়কারী জানান, যে গরু কিনছে তার কাছে ৫০০ টাকা আর যে বিক্রি করছে তার কাছে ১০০ টাকা মোট ৬০০ টাকা টোল আদায় করছি। সরকার নির্ধারিত মূল্য কত জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা ইজারাদার জানে। আমাকে যা টোল আদায় করতে বলেছে, আমি তাই আদায় করছি।

হাটের ইজারাদার মাহমুদ হাসান জানান, এবার দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকায় এ হাট ইজারা নিয়েছি। নির্ধারিত মূল্যে টোল আদায় করলে, ইজারার অর্ধেক টাকাও উঠানো সম্ভব হবে না। অন্যান্য ইজারাদার যা টোল আদায় করছে, আমরাও তাই করছি। বারবার আবেদন করার পরও কতৃপক্ষ নতুন ইজারার মূল্য নির্ধারণ করছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম জানান, ইজারাদার অতিরিক্ত টোল আদায় করার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।