সাগর কুমার বাড়ই | তেরখাদা, খুলনা: খুলনা জেলার আওতাধীন তেরখাদা ও রূপসা উপজেলার সীমান্তবর্তী শেখপুরা শিয়ালী বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে আঠারোবেকী নদীর বাঁধ কেঁটে দেওয়ায় দুই উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের ।
ছাত্র/ছাত্রী -চাকরী জীবি রোগী সাধারণ সহ সকল শ্রেণী পেশার লোকদের অসহনীয় বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে ।প্রতিদিন ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা ।
সম্প্রতি খুলনা- ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর আন্তরিক সহযোগিতায় নিজস্ব অর্থায়ন থেকে শেখপুরা ~শিয়ালী বাজারের খেয়া ঘাট নির্মাণ ও পারাপারের সুব্যবস্থা করার জন্য ড্রামের তৈরি ভাসমান ফেরি নির্মাণের জন্য শেখপুরা বাজার নেতৃবৃন্দদের নিকট ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করেন ।
জানা যায়, শেখপুরা শিয়ালী বাজারের ঘাট নির্মাণ ও ভাসমান ফেরি নির্মাণ করতে ৪~৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয় ।
কিছু স্বার্থ লোভী মহলের কারণে ড্রামের তৈরি ভাসমান ফেরি আঠারোবেকী নদীর মাঝে বেঁধে রেখে হাজার হাজার যাত্রীদের নৌকা যোগে পারাপারের ব্যবস্থা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ।
রূপসা উপজেলার শিয়ালী বাজারের পার্শ্বেএকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শিয়ালী ভোকেশনাল কলেজ, শিয়ালী বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে রপ্তানি যোগ্য মৎস্য আড়ৎ রয়েছে ।তাছাড়া শিয়ালী বাজার থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাঁদপুর কলেজ রয়েছে ।
এদিকে রূপসা উপজেলার ৫নং ঘাট ভোগ ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন শত শত ছাত্র ছাত্রী, চাকরী জীবি, রোগী সহ সাধারণ মানুষ শেখপুরা ~শিয়ালী খেয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে প্রান কেন্দ্র খুলনা শহরে পাড়ি জমান ।ফলে খেয়া ঘাটে এসে চরম ভোগান্তি ও বিড়ম্বনায় পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের ।
গোপন সুত্রে জানা যায় রাতের আধার নেমে আসলেই মহিলা যাত্রীদের সম্মান হানির ঘটছে অহরহ ।
তেরখাদা ও রূপসা উপজেলা বাসীর দীর্ঘদিনের দাবী জনসাধারণের যাতায়াতের সুব্যবস্থার জন্য শেখপুরা ~শিয়ালী বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে আঠারোবেকী নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের জন্য কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কামনা করেন ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।