উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খানসামায় ছোট বড় মিলে ৩০০টি গরুর খামারে ষাঁড় ৭১৬৫ ও গাভী ৬০ হাজারের অধিক গরু রয়েছে। উপজেলায় বাৎসরিক গড়ে ১৮ হাজার মে. টন লিটার দুধ উৎপাদন হয়। এই গরুর খাদ্যের চাহিদা অনুযায়ী ঘাস উৎপাদন হয়। ঘাস চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভ্যানে করে ঘাস বিক্রি করতে আসা রফিকুল জানান, উপজেলার আমতলী বাজারের পাশে পাকচং জাম্বু ঘাস চাষ হয়। সেখান থেকে আটি ৬ থেকে ৮ টাকা টাকা দরে কিনে ফেরী করে ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি করেন। এতে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হয়। বেকার বসে না থেকে তার মতো অনেকেই ঘাস বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।
ঘাস চাষি ও খামারি আজিজুল ইসলাম বলেন, কয়েক লাখ শিক্ষিত বেকার ও ধান চাষে ক্ষতিগ্রস্তরা খামার গড়ে লাভবান হচ্ছেন। কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে কয়েক হাজার খামারে। ফিড সিন্ডিকেট ভাঙতে খামারিরা কমিয়েছেন দানাদার খাবার। বাড়িয়েছেন নেপিয়ার ঘাস। খরচ কম হওয়ায় এবং তিন মাস পরপর বেচার সুযোগে স্বল্প পুঁজির অনেকেই বাড়িছেন নেপিয়ার ঘাসের চাষ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, প্রণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের মধ্যে নেপিয়ার পাকচং ঘাস চাষে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি আগ্রহী খামারি ও কৃষকদের ঘাস চাষে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। উপজেলায় ৯৮ হেক্টর জমিতে ঘাস চাষাবাদ হয়েছে। এ ছাড়া সাইলেজ তৈরি করলে অনেক ঘাস একসাথে সংরক্ষণ করা যায়।
প্রাণী সম্পদ বিভাগের উৎসাহে গবাদি পশুর খাদ্যের চাহিদা পূরণ ও দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ঘাস চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন খামারি ও কৃষকেরা। এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করতে কৃষকের খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রতি দেড় মাস পর ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার ঘাস বিক্রি করেন তারা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।