• চিরিঙ্গা সোসাইটি ফল ব্যবসায়ী বহুমুখি সমবায় সমিতির বেপরোয়া চাঁদাবাজি

নিজেস্ব প্রতিবেদক | পেকুয়া 

চকরিয়া পৌরশহরে ফুটপাতে দেখে বোঝা যাবে না, এটি ফুটপাত নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। মার্কেট মালিকদের দখল মালিকানায় হাঁটার যে জায়গাটুকু আছে সেটাও পণ্যসামগ্রীর পসরা আর হকারদের দখলে। হকারদের নিয়ন্ত্রণ করে চিরিঙ্গা সোসাইটি ফল ব্যবসায়ী বহুমুখি সমবায় সমিতি লি: নামে একটি সংগঠন।

সেই ফুটপাত দখলকারী সংগঠনটির নির্বাচন আগামী ২৩ জানুয়ারি। নির্বাচন উপলক্ষে পৌরশহরের সৌন্দর্য নষ্ট করে যত্রতত্র পোষ্টার লাগানো হয়েছে। মাইকের আওয়াজে কান ঝালাপালা করা হয়ে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও ব্যাংক-বীমার অফিসসহ পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

শহরে পথচারীরা ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে যে রাস্তায় হাঁটবে তারও জায়গা নেই। কারণ সেখানে অবৈধ টমটম, সিএনজি ও অটোরিক্সার দখলের প্রতিযোগিতা আছে। তাদেরও আলাদা সংগঠন আছে। মহাসড়ক দখল করে হকারদের ফল সমিতি ও যানবাহন সংগঠনগুলো দেদারছে চাঁদাবাজি করছে। সেখানেও টমটম সমিতিটির নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়েছে।

এই হলো চকরিয়া পৌরশহরের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চিরিঙ্গা স্টেশনের ফুটপাতের অবস্থা। ছোট ছোট ঝুঁপড়ি দোকান, ব্যবসাসামগ্রী আর হকারদের ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিদিন নানাভাবে হয়রানি পোহাচ্ছেন পথচারীরা। সেই সড়কে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কোন গুরুতর আহত রোগী বা অ্যাম্বুলেন্স যেতে কি হাল হয় সেটা সবার চোখে দেখা। প্রতিদিন পথচারীরা ছিনতাই ও পকেটমারের কবলেও পড়ছে।

সড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল, অন্যদিকে রাস্তায়ও ঠিকভাবে হাঁটাচলা করা দায়। ফুটপাত থেকে নামতেই রাস্তার পাশজুড়ে সারি সারি ব্যাটারি চালিত টমটম, সিএনজি, অটোরিকশা, সাইকেল আর মোটরসাইকেলের ভিড়। পথচারীদের বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই। চকরিয়া শহরের লক্ষ লক্ষ টাকা পুঁজি দিয়ে হাজারো ব্যবসায়ী করছে। তাদের দাবি এই চিরিঙ্গা সোসাইটি ফল ব্যবসায়ী বহুমুখি সমবায় সমিতি লি: সংগঠনটির কারণে তাদের ব্যবসার চরমভাবে প্রভাব পড়ছে।

মুল কথা হয়, ফুটপাত দখলকারী সংগঠনটি কিভাবে এত দাপটের সাথে নির্বাচন করছে। এই নির্বাচন উদ্দেশ্য কি সেটা মাথা আসছে না। প্রতিদিন চাঁদা আদায় জায়েজ করতে কি এই নির্বাচন? সূত্র বলছে প্রতিদিন ফুটপাতে বসা হকারদের কাছ ২০টাকা থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন অঙ্কের প্রায় ২৫ থেকে ৩০হাজার টাকা দৈনিক চাঁদা আদায় করছে সংগঠনটি।

অন্যদিকে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন পৌরসভা থেকে কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদা দাবি করলে তাকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিন।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভার মেয়র ও চকরিয়া থানা পুলিশের হতক্ষেপ কামনা করছে ব্যবসায়ীরা।