ডেঙ্গু জ্বরে গেলো ৭ দিনে দৈনিক গড়ে প্রাণ গেছে প্রায় ১৪ জনের। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। হাসপাতালে নতুন দৈনিক গড় রোগী প্রায় ৩ হাজার। মৃতদের ৮৪ ভাগের প্রাণ যায় ভর্তির ৩ দিনের মধ্যে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জেলা ঢাকা। আর রাজধানীর সবচেয়ে বেশি ভয়ের এলাকা এখন যাত্রাবাড়ি ও সবুজবাগ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দেয়া সাপ্তাহিক তথ্যে উঠে এসেছে এই চিত্র। এদিকে, হাসপাতালগুলো আবারও ডেঙ্গুরোগীতে ঠাসা। এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রায় ১৫ শতাংশেরই বয়স ২১ থেকে ২৫ এর মধ্যে।
সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ৫১ থেকে ৫৫ বছর বয়সীরা। ডেঙ্গুর শক সিনড্রোমে মৃত্যু আগের চেয়ে গত সপ্তাহে বেড়েছে আরও ১ শতাংশ। সুস্থ হতে হতে হঠাৎ এক্সপান্ডেট সিনড্রোমেও বেড়েছে মৃত্যু। হাসপাতালে ভর্তির ৩ দিনের মধ্যে প্রাণ গেছে ৮৪ শতাংশ রোগীর। ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক কর্নেল ডা. একেএম জহিরুল হোসাইন বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কলাপস অবস্থায় এসেছে রোগী। ব্লাড প্রেশার পাওয়া যায়নি। তাদেরকে দ্রুত স্যালাইন দিয়ে রিকভার করতে পারিনি।
ডেঙ্গুতে নারীদের মৃত্যু বেশি, আক্রান্তে বেশি পুরুষ। আগের সপ্তাহের চেয়ে নারী মৃত্যু বেড়েছে ১ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা ড. মুশতাক আহমেদ বলেন, নারী-পুরুষ যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বা মারা গেছেন, তারা শনাক্তই হয়েছেন দেরিতে। আর আমাদের দেশে শহর বা গ্রাম যেখানেই বলি না কেন, শহরে তো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নেই।
সরকারি যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই হারে তো পরীক্ষা করার সুযোগ নেই। ঢাকার সরকারি বেসরকারি ৭৭টি হাসপাতালে রোগীদের তথ্য থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, রাজধানীতে ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে ১০ এলাকার মধ্যে শীর্ষে যাত্রাবাড়ি ও সবুজবাগ এলাকা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।