নড়াইলে পোলট্রি খামারের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

কৃপা বিশ্বাস, নড়াইল ঃনড়াইল পৌর এলাকায়
ভওয়াখালী – ভাদুলীডাঙ্গার যশোর রোড থেকে দক্ষিণ দিকে এ্যাড ঃ নগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও (অবঃ দায়রা জজ)বাবু আদিত্য বিশ্বাস এর বাড়ি পর্যন্ত একটি সরু রাস্তা। এই রাস্তায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি পোল্ট্রি খামার।

এই পোলট্রি খামারের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তীব্র দুর্গন্ধে ওই রাস্তার পাশে অবস্থানরত বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর এই পোল্ট্রি খামার বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখত অভিযোগ করা হয়েছে । অভিযোগ সুত্রে যানা যায়, মেসার্স কুন্ডু এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দীলিপ কুমার কুন্ডু এই পোলট্রি খামার স্থাপন করেছেন। আর স্থানীয় জমির মালিক নিরাপদ বিশ্বাসের স্ত্রী কবিতা বিশ্বাস স্থানীয় লোকের নিকট পরামর্শ না নিয়ে ওই জমি পোল্ট্রি ফর্ম করার জন্য লিজ দিয়েছেন। খামারগুলোর মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাবার হিসেবে বিক্রি হয়। আবার অনেক সময় কারখানার ভেতরেই রয়ে যায় এসব বিষ্ঠা। দুর্গন্ধে আশপাশের মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কারখানার আশপাশের রাস্তায় চলতে হয় দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে। মুরগির বিষ্ঠা ট্রাকে করে নেওয়ার সময় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে বিষ্ঠা পড়ে যায়। ফলে ওই সব সড়কেও দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে চলতে হয় সাধারণ মানুষকে। খামারের নিকটে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের বাড়ি। তিনি জানান,বিষ্ঠার দুর্গন্ধে থাকা যায় না। রোদ উঠলে বাতাসে গন্ধ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। একই গ্রামের সমির কুমার সেন বলেন, গন্ধে বমি আসে। তৃপ্তি নিয়ে খাওয়াদাওয়া করা যায় না। গোপাল বিশ্বাস,বলেন, গন্ধে ঘুমাতেও কষ্ট হয়।

স্থানীয় আরো বলেন, পোলট্রি বর্জ্যের কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকে ফুসফুসের রোগের কারণ হতে পারে। এর থেকে শ্বাসকষ্ট এবং হার্টের ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এসব খামার সংলগ্ন এলাকার মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ বিষয়ে খামার মালিক দীলিপ কুমার কুন্ডু মোবাইল ফোনে জানান, খামার দিয়ে কোন দুর্গন্ধ বের হয় না।
এলাকাবাসী এই খামার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।