ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১২ টি মন্দিরের ১৪ প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘ মাইনোরিটি ওয়াচ ও মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান রিচার্ড এল বেনকিং ও বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তারা।
এসময় তাদের সাথে ছিলেন, বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ কেন্দ্রের চিপ মেম্বার শাহিনুল ইসলাম, জেলা মাইনোরিটি ওয়াচের সভাপতি গৌর হরি বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার রায়, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আহ্বায়ক জয় মহন্ত অলক প্রমুখ।
এদিকে এসময় মন্দির প্রাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার, বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহ্, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রবির কুমার রায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, চাড়োল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জি, ধনতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর কুমার, উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল আলম প্রমুখ।
এসময় ঘটনার সম্পর্কে নানা আলোচনা করেন তারা।
আলোচনা শেষে বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ এ ব্যাপারটা তদন্ত করছে। প্রায় ২০-২১ হয়ে গেল। পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এবং কাউকে সন্দেহ করতে পারিনি। সরকার ও প্রশাসনের লোকজনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে যারা ধর্মীয় সহিংসতা করেছে। তাদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা হোক। এটা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবী। আমরা মানবাধিকার কর্মীরা চাই এদেশে হিন্দু, মুসলিম সকলে সমান।
জাতিসংঘ মাইনোরিটি ওয়াচ ও মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান রিচার্ড এল বেনকিং বলেন, আমি জানি এদেশে হিন্দু, মুসলিম সকলেই ভালভাবে বসবাস করে। তাদের সম্পর্কগুলো ভাল। জানিনা কারা এ কাজটি করেছে। আর কেন করেছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রোগ্রাম শেষে জেলার রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ উপজেলার দুটি স্থান পরিদর্শন করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।