প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শিক্ষা খরচ। এই খাতে সারাবিশ্বের মধ্যে পরিবারের ব্যয়ে শীর্ষ তালিকায় এখন বাংলাদেশ। ফলে সন্তানের পড়ালেখার খরচ মেটানো নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আরও স্পষ্ট করে বললে মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া সন্তানের আগামী দিন কল্পনা করতে পারেন না অভিভাবকরা। সেটা সরকারি হোক বা ইংরেজি নামের বেসরকারি স্কুল কিংবা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পয়সা খরচ না করলে অনেক কিছুই মেলে না, আর শিক্ষা তো নয়ই।
বিশেষ করে শুধু মাসিক আয়ে নির্ভর মধ্যবিত্ত মাত্রই জানেন এই বাস্তবতা। স্কুলে ভর্তি, পুনঃ ভর্তি, টিউশন ফি, উন্নয়ন ফি আরও যে ফি। যার একাধিক সন্তান বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী তার ভার আরও বেশি।
ইউনেস্কোর সবশেষ বৈশ্বিক শিক্ষা প্রতিবেদনসহ বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের যে কয়টি দেশে প্রাথমিক-মাধ্যমিক পর্যায়ে পরিবার বা ব্যক্তিকে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয় তাতে বাংলাদেশ অন্যতম। অথচ শিক্ষার্থীর একাডেমিক দক্ষতায় ব্যয় করার সুযোগ কম বেসরকারি স্কুলগুলোর।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার জানান, কিন্ডারগার্টেনগুলোতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ বিল সহ অন্যান্য খরচ দেয়ার পরে অনেক সময় নিজেদের থেকে শিক্ষকদের বেতন দিতে হয়।
গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার আশরাফ বলছেন, মধ্যবিত্তের শিক্ষায় আগ্রহের সঙ্গে বেড়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা ও এ খাতে বিনিয়োগ। কিন্তু অর্থব্যয়ের যৌক্তিকতার সীমারেখা বাঁধা হয়নি।
জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ শিক্ষায় ব্যয় করতে ইউনেস্কোর পরামর্শ থাকলেও দেশে বাজেট বরাদ্দ দুই শতাংশ। তাই সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন গবেষকদের। একইসঙ্গে বেসরকারি শিক্ষা ব্যয় ও পাঠদান পদ্ধতির ওপর নজরদারির পরামর্শ তাদের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।