শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় স্বমহিমায় উদ্ভাসিত ছাত্রলীগ

সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-

 

কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহাসিক ও কিংবদন্তি সংগঠনের আমিও একজন সদস্য ছিলাম। বিগত বছরগুলোতে ছাত্রলীগ নিয়ে যা কিছু দৃষ্টিকটু ঘটনা ঘটেছে, তার সবগুলোই ঘটিয়েছিল ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ বিবর্জিত কিছু হঠকারী ও সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী। আর ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার একটি সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আমি এই লেখার পরের অংশে উল্লেখ করছি।

 

গত কয়েক বছর ধরে ছাত্রলীগ নিয়ে আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়েছিল। এই অভিযোগের সবগুলোই যে সত্য, সেটি নয়। আবার সবগুলোই যে মিথ্যা, সেটিও সঠিক নয়। সে যাই হোক, ছাত্র লীগের বিরুদ্ধে যখনই কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হতো, আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতো।

 

কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহাসিক ও কিংবদন্তি সংগঠনের আমিও একজন সদস্য ছিলাম। বিগত বছরগুলোতে ছাত্রলীগ নিয়ে যা কিছু দৃষ্টিকটু ঘটনা ঘটেছে, তার সবগুলোই ঘটিয়েছিল ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ বিবর্জিত কিছু হঠকারী ও সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী। আর ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার একটি সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আমি এই লেখার পরের অংশে উল্লেখ করছি।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্রলীগ সৃষ্টি করেছিলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসের প্রতিটি টার্নিং পয়েন্টে ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে পিতার আদর্শই তার চলার পথে মূল আলোকবর্তিকা, পিতার স্বপ্নই তার চলার পথে ধ্রুবতারা। পিতার নেতৃত্বে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম, স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলদেশে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের সংগ্রামসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যের আত্মাহুতিসহ এই সংগঠনের যুগান্তকারী অবদান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে পর্যদুস্ত, বিশ্ব মানবতা যখন চরম সংকটাপন্ন – যে অবস্থাকে আমার কাছে ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার প্লাস’ মনে হয়েছে, করোনা থেকে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে যখন লকডাউন চলছিল, তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসলো।

 

সাংগঠনিক নেত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগ সারাদেশে কৃষকের জন্য ধান কাটতে শুরু করে, সে ধান তারা কাঁধে তুলে কৃষকের উঠানে পৌঁছে দিয়েছে। কৃষককে তার প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য সহায়তা করেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে চিংড়ি চাষে সহায়তা করেছে, কোথাও আবার লবণ চাষেও সাহায্য করেছে। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ প্রতিদিন দেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি উপজেলায়, প্রতিটি গ্রামে কৃষকের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বিরামহীন ভাবে ধান কেটে গেছে। দেশের এই চরম ক্রান্তিকালে ধান ফলনের সময় ছাত্রলীগের এই ধানকাটা, ধান পরিবহন ও ধান মাড়াই কর্মসূচি নিঃসন্দেহে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।

 

এছাড়া দেশের সর্বত্র করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ল্যাবরোটারিগুলোতে শিক্ষকদের সহায়তায় নিজেরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করে সারাদেশে বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। তারা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ সমাজের অনেক মানবহিতৈষী ব্যক্তির কাছে থেকে সহায়তা নিয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ফেস মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং হাত ধোয়ার জন্য সাবান বিতরণ করেছে। বাহ্যিকভাবে পেশাদার পরিচ্ছন্ন কর্মীর মতো, অথচ অন্তরে ভালোবাসার পরশ দিয়ে ছাত্রলীগের সদস্যরা এন্টি ভাইরাস স্প্রে হাতে ছুটে চলেছিল গ্রামের পর গ্রাম। নিজেরা খেয়েছে কি খায়নি- সেদিকে না তাকিয়ে তারা কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংকটের কারণে কর্মহীন, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দেশব্যাপী হাজার হাজার কোটি টাকার সমমূল্যের যে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ পাঠাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ত্রাণ কার্যক্রমেও ছাত্রলীগ সরকারি প্রশাসনকে সহায়তা করেছে।

 

আমার নিজের উপজেলা চাঁদপুরের কচুয়া সহ সারাদেশেই ছাত্রলীগ এই সকল মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। একটা কেস স্টাডি হিসেবে বলছি, আমার পক্ষ থেকে কচুয়ায় লক ডাউনের সময় কর্মহীন তিন হাজার ৫০০ পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিল এই ছাত্রলীগ। উপজেলা ছাত্রলীগ অত্যন্ত যত্ন সহকারে ও সুনিপুনভাবে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গিয়ে তিন হাজার ৫০০ পরিবারের খাদ্য সামগ্রী তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। দেশব্যাপী ছাত্রলীগের আরও কিছু মানবিক কাজের কথা আমি বলতে চাই।

 

নিজের মা করোনা আক্রান্ত হয়েছে- এই সন্দেহে অসুস্থ মা’কে যখন নিজের কুলাঙ্গার সন্তানরা জঙ্গলে রেখে আসে, তখন ছাত্রলীগ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মানবতার মা শেখ হাসিনার নির্দেশ ও তারই অনুপ্রেরণায়। করোনা আতঙ্কের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির জানাজা ও দাফনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল, অকুতোভয় ছাত্রলীগ তখন এগিয়ে আসলো জননেত্রী শেখ হাসিনারই অনুপ্রেরণায়। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে করোনার ভয়ে মুক্তিযোদ্ধার লাশ দাফনে যখন কেও এগিয়ে এলো না, তখন এগিয়ে আসলো ছাত্রলীগ।

 

করোনা সংকটের মধ্যে জনগণ যাতে চট্রগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা পায় সেটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে নগরীর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ছাত্রলীগ এক ধরণের গোয়েন্দা নজরদারি করেছে।

 

করোনা সংকটে ছাত্র-ছাত্রী ও নিম্ন আয়ের কর্মজীবীদের সহায়তার জন্য পাবনায় ছাত্রলীগের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সকল মেসের ভাড়া ৪০ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছিল।

নিজের দেহ থেকে ‘প্লাজমা’ দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচাতে ছাত্রলীগই প্রথম এগিয়ে আসলো। এই লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা প্লাজমা ব্যাংকের সদস্য হলো।

 

নেত্রীর আহবানে ছাত্রলীগ ঘূর্ণিঝড় আম্পানেও মানবিক কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছিল। অনেক জায়গা