নিজস্ব প্রতিবেদক|ঢাকা: আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় অংশ নিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রবাস ও ছাত্রীনিবাস খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাত্রবাস ও ছাত্রীনিবাসে অবস্থান করতে পারবেন।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্রবাস ও ছাত্রীনিবাসে অবস্থান নেওয়া, খাওয়া-দাওয়া করা এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

করোনা মহামারি শুরুর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময় থেকে হোস্টেলগুলোও বন্ধ রয়েছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের ২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ ও ৮ম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ছাত্রবাস ও ছাত্রীনিবাস খুলে দেওয়া হবে।

পলিটেকনিগুলো শিক্ষার্থীদের ছাত্রবাস ও ছাত্রীনিবাসে অবস্থান নেওয়াসহ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আরেকটি কমিটি গঠন করবে। প্রতিষ্ঠানের মনিটরিং কমিটি এবং কেন্দ্রীয়ভাবে গঠন করা কমিটি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা পরীবীক্ষণ করবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

মনিটরিং কমিটিগুলো তিনবেলা শিক্ষার্থীদের পরীবীক্ষণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করবে। পলিটেকনিগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থা করবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাস খুলে দেওয়ার নির্দেশনা চায়।

এতে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন ৩৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে ২৫টি পলিটেকনিকের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২৫টি ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা চলাকালে আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাসে থাকার জন্য খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত ছাত্রবাস ও ছাত্রীনিবাস খুলে দেওয়ার নির্দশনা দেওয়া হলো। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি ও সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।