পূর্বাচল প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে
ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দারা সর্বহারা প্রায়।

নিজেস্ব প্রতিবেদক | নারায়ণগঞ্জ 

পূর্বাচলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত অধিবাসীদের প্লট বরাদ্দ নিয়ে রাজউক ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তারা কারসাজি করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অধিবাসীদের ফাইল গায়েব করে প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্লট অন্য লোকদের কাছে বিক্রির পায়তারা করছে।বুধবার দুপুরে ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে অধিকার বঞ্চিত পূর্বাচলের মূল অধিবাসীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্তরা এমন অভিযোগ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাইদুল ইসলাম ভুইয়া, শামীম মিয়া, রুবেল হোসেন, খোরশেদ আলম প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে শেখ রেজা আহমেদ বলেন, রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জের দাউদপুর ও রূপগঞ্জে ২১টি মৌজায় প্রায় ৪৫৮৬ একর ও গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রায় ১৫৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে। এরপর মূল জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ বিতরণের জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়।

এর মধ্যে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ নিলেও অন্যরা প্রথমে নিতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে তারা ক্ষতিপূরণ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে গিয়ে জানতে পারেন প্রায় ৬০০ জনের ফাইল গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে গায়েব হয়ে গেছে।

যেগুলো রয়েছে তার মধ্যে কিছু ফাইলে ওই অসাধু কর্মকর্তারা কাটা ছেড়া করে নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে। এতে করে প্রায় ৬০০ প্লট দুর্নীতিবাজ ওই সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে। যার মূল্য প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এছারাও সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে বরাদ্দকৃত প্লটের মালিকানা বুঝে পেতে রাজউক উন্নয়ন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে অনেকেই তাদের ফাইল খুঁজে পাচ্ছে না। আর সেই ফাইল খুঁজে পেলে হলেও দিতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা যারা টাকা দিতে পারে তাঁরাই শুধু ফাইল পেয়ে তাঁকে আর টাকা দিতে না পারলে নানা কারণ দেখিয়ে ফাইলের খোঁজ অজানাই রাখা হয়।