বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২২ উদযাপিত হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি পুরো প্যারেড গ্রাউন্ড ঘুরে দেখেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজিবি মহাপরিচালকসহ (ডিজি) বাহিনীটির কর্মকর্তা ও উপস্থিত অতিথিদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে শুরু হয় বিজিবির কুচকাওয়াজ।

বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবি সদস্যদের পদক প্রদান এবং পরে বিজিবি সদস্যদের বিশেষ দরবারে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

এর আগে ফজরের নামাজের পর পিলখানার সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ মহাপরিচালকের সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন এবং সীমান্ত গৌরবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

উল্লেখ্য, বিজিবি দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও আস্থা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের বেনাপোল, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপিতে বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক জমকালো ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজিবি দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে পিলখানার সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হবে। দরবার শেষে মহাপরিচালক কর্তৃক বিজিবিতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবির কর্মকর্তা ও সদস্যদের পদক ও ইনসিগনিয়া প্রদান করা হবে।

এছাড়াও অপারেশনাল কার্যক্রম, চোরাচালান নিরোধ এবং মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুরস্কার প্রদান এবং অনারারী সুবেদার মেজর থেকে অনারারী সহকারী পরিচালক ও অনারারী সহকারী পরিচালক থেকে অনারারী উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের র‌্যাংক ব্যাজ পরানো হবে। এ অনুষ্ঠানে বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা/উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা, অনুদান ও উপহার দেওয়া হবে।

এছাড়া বিজিবি দিবস-২০২২ উপলক্ষে দুপুরে প্রীতিভোজ এবং সন্ধ্যায় পিলখানার ঢাকা সেক্টর মাঠে বিজিবি’র নিজস্ব অর্কেস্ট্রা ও শিল্পীসহ দেশের বরেণ্য শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

বিজিবি দিবস উদযাপন উপলক্ষে পিলখানা ছাড়াও ঢাকার বাহিরে বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিট পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন, মিলাদ ও বিশেষ দোয়া, প্রীতিভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।