বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পাঁচ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে মর্যাদাপূর্ণ মরণোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ দিয়েছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস
(২৯ মে) সামনে রেখে বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশের পাঁচজনসহ বিশ্বের ৩৯ দেশের ১০৩ জন শান্তিরক্ষীকে তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য এই পদক দেওয়া হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে ৩৯ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে এই পদক তুলে দেন। বাংলাদেশের পক্ষে মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।
বাংলাদেশের যারা এই পদক পেয়েছেন তারা হলেন সুদানের আবেইতে ইউএনএসএফএ মিশনের সার্জেন্ট মোহাম্মদ মনজুর রহমান; দক্ষিণ সুদানের ইউএনএমএসএস মিশনের ল্যান্স কর্পোরাল কফিল মজুমদার; সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের এমএনইউএসসিএ মিশনের সৈনিক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সৈনিক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের পক্ষে মেডেল গ্রহণের পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ হলে রক্ষিত শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
শোকবার্তায় তিনি শান্তিরক্ষায় জীবন দানকারী সকল শান্তিরক্ষীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অপূরণীয় এই ক্ষতির জন্য তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এসব পদক শান্তিরক্ষীদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।
বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বিশ্বের নয়টি মিশনে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার ৫০০ জন শান্তিরক্ষী এখন দায়িত্ব পালন করছেন। এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ১৬৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।