মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান বর্জন, রাতে থানায় চলে অশ্লীল নৃত্য

উপজেলা প্রতিনিধি:-

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল থানার আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।গতকাল রবিবার (৭ মার্চ) বিকালে থানা চত্বর মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ও সাংবাদিকের সাথে থানা পুলিশ অসাদচরণ করায় তারা পুলিশের এ অনুষ্ঠান বর্জন করেন।

জানাযায়, ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন আর সেই সভায় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও সংবাদকর্মীদের আমন্ত্রন জানানো হয়। দুপুর ২ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ায় কথা থাকলেও তা বিকাল গড়ালে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা রাগে ক্ষোভে থানা থেকে বেড়িয়ে যায়।

মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ তাদের আমন্ত্রণ দিয়ে অপমান করা হয়েছে। এক কাপ চা ও পর্যন্ত তাদের দেওয়া হয়নি। তাই এ অনুষ্ঠান বর্জন করেন। আরো জানাযায়, মুক্তিযোদ্ধারা চলে আসার পর থানা পুলিশ বঙ্গবন্ধুর ছবি যুক্ত ব্যানারে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন যে অনুষ্ঠান জুড়ে ছিলো অশ্লীন নাচ গানের ভরপুর। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।

মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার ভক্তসহ আরো অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের দাওয়াত দিয়ে অসম্মান করেছে । তাই আমরা মুক্তিযোদ্ধারা থানা পুলিশের অনুষ্ঠান বর্জন করেছি। অন্যদিকে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ দিয়ে তাদেরও অসন্মান করেছে থানা পুলিশ বলে অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের।

রাণীশংকৈলে প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার জানান, থানা পুলিশ আমাদের কিছু সংবাদকর্মীকে আমন্ত্রণ জানায়। পরে আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের সাথে অজ্ঞাত কারণেই অসদচারণ করে। পরে পুলিশের এ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করি।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,দুপুর ২টায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠান শুরু করেন তারা। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে থানা চত্বরে বসে থাকে আমাদের সামান্য সন্মানটুকুও তারা করেনি।

এব্যাপারে জানতে চাইলে রাণীশংকৈল থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, আসলে সামান্য ভুলবুঝা-বুঝির কারণে সাংবাদিকরা এমন করবে এটি আমি ভাবতে পারিনি। রাতে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন স্থানীয় কিছু ছেলে-মেয়ে নাচ-গান করেছে।