খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মে মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বিদেশ হতে দেশে ফেরত আসা পাঁচশত ২৮ জনকে খুলনা জেলার ১২টি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এগুলোতে নিয়মিত মেডিকেল টিম পরিদর্শন করছে।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মামুন অর রশিদ জানান, আসন্ন ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলারক্ষায় পুলিশ সক্রিয় থাকবে। চিহ্নিত অপরাধীরা কোন অবস্থায় যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ বাহিনী সজাগ আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফৌজদারি অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার সভায় বলেন, লকডাউনে কৃষিপন্য পরিবহন নির্বিঘœ রয়েছে। রমজানে জেলার বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল আছে। কৃষিবিপণন আইন অনুযায়ী সবজি, ফল ও কাঁচামালে ৩০ শতাংশের বেশি লাভ করা যাবেনা।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, আসন্ন ঈদের জামাত কোন ভাবে উন্মুক্ত স্থানে আয়োজন করা যাবে না। ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি এবং মাদকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদেরকে অধিকতর সজাগ থাকতে হবে। ঈদের কেনাকাটার সময় মার্কেট ও দোকানসমূহে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বাজার কমিটিগুলোকে আরও সক্রিয় হতে বলেন জেলা প্রশাসক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলী সভার শুরুতে বিগত মাসে খুলনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তুলে ধরেন। সভায় জানানো হয় খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত এপ্রিল মাসে ১৪৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার সংখ্যা বিগত মার্চ মাসে দায়ের হওয়া মামলা থেকে ১৬টি কম। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে ১৫২টি মামলা হয়েছে যা বিগত মার্চ হতে ২৫টি কম।
সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা অনলাইনে যুক্ত হন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।