নাসিম আক্তার, যশোর প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক কাস্টমস ও পুলিশ ইমিগ্রেশনে ৫০ বছর পর দালালমুক্ত করা হলো।
চলতি বছরের শুরু থেকেই বহিরাগতদের প্রবেশের ওপর নিষেধাঞা জারি করেন।
ভারতে গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের  হয়রানি বন্ধে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে পাসপোর্ট ছাড়া কোন ব্যক্তিকে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ন কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া যোগদানের পরপরই সাহসী প্রদক্ষেপের কারণে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করতে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিন, সশস্ত্র আনসার দিয়ে জোরদার করা হয়েছে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করেছে ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৫০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। যাত্রীদের কাছ থেকে এ সময়  বিদেশে ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব আদায় করেছে ৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আন্তর্জাতিক  কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এলাকায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা, যাত্রীদের বিশ্রামাগার, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
টার্মিনালের প্রধান ফটকে বন্দরের নিরাপত্বা কর্মী, আনসার সদস্য ও কাস্টমস অফিসাররা সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখায় প্রবেশ করতে পারছে না পাসপোর্ট দালালেরা।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশন’র ওসি রাজু  আহমেদ জানান,করোনার পূর্বে প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে ভারতে। সে সময় প্রতিমাসে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হতো বিদেশ ভ্রমণ কর থেকে।
বেনাপোল কাস্টমস যুগ্ন কমিশনার জানান,বেনাপোল চেকপোস্টে কোনো পাসপোর্টযাত্রী যাতে হয়রানি না হয় সে জন্য দালালমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি যাত্রীকে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে তাদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস যুগ্ন কমিশনার আ ব্দুর রশিদ মিয়া আরোও জানান, বর্তমানে চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালাল মুক্ত করা হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন করতে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বর্তমানে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া নিরাপদে যাত্রীরা ভারত গমনাগমন করছেন। কোন ধরনের হুমকী ধামকি দিয়ে কাস্টমস এ দালাল প্রবেশের  করোনো যাবে না।সাধারন যাত্রীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে।