যশোরের কোতোয়ালি ও বাঘারপাড়া থানায় আটটি বোমা উদ্ধার সহ নাশকতা মামলায় বিনপির ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

কোতোয়ালি ও বাঘারপাড়া থানা পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, যশোরের কোতোয়ালি ও বাঘারপাড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে।

যশোরের কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় ৪৯ জন আসামীর মধ্যে ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। একই সাথে তাদের কাছথেকে আটটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।

এছাড়া বাঘারপাড়ায় দায়ের করা মামলায় ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামীদের মধ্য হতে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ মামলায় চারটি জিআই পাইপ, ৬টি রড, দুইটি শাবল, ২২ টি কাঠের বাট ও দুইটি হাতুড়ি উদ্ধার দেখানো হয়েছে বলে বাঘারপাড়া থানা সূত্র থেকে জানা যায়।

যশোরের কোতোয়ালি থানার এস আই মহিউদ্দিন মামলায় উল্লেখ করেন, শুক্রবার রাতে ডিউটিরত অবস্থায় তিনি জানতে পারেন যশোর সদর উপজেলার রামনগরের নামেজ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কতিপয় বিএনপি ও জামাত শিবিরের নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছে।

তারা সেখানে বোমাসহ বিভিন্ন সরজ্ঞাম নিয়ে অবস্থান করছে। তাৎক্ষনিক তিনি তার টিম রাত ১২টা ১০ মিনিটে ওই এলাকায় অভিযান চালান। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের নেতাকর্মীরা দিকবেদিক ছোটাছুটি শুরু করে অনেকেই পালিয়ে যান।

তার মধ্যে ১৪জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে তাজামুল ইসলামের কাছ থেকে চারটি ও মনিরুল ইসলামের কাছথেকে আরও চারটি মোট আটটি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি ৪৯জনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।

আটককৃতদের মধ্যে অন্যরা হলেন, নুরপুরের আব্দুল জব্বার, ললিতাদাহের আমির হোসেন, একই গ্রামের হোসেন, শাখারীগাতির আকবর হুসাইন, শফিউল্লাহ, জগহাটি গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেন, রুপদিয়ার হাবিবুল্লাহ, নরেন্দ্রপুরের রাশেদুল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলার সন্যাসগাছার আব্দুল জলিল, কেশবপুর উপজেলার লক্ষীনাথকাটির বেলাল হোসেন, সাতবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেন, খোপদহি গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়াও বাঘারপাড়ার থানার এসআই সজল কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি মামলা করেছেন। এ মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, শুক্রবার বিকেলে তারা খবর পান বাঘাপাড়ার মাহমুদপুর প্রাইমারী স্কুলের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতামুলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তাৎক্ষনিক পুলিশের একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়।তারা হলেন বাঘাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান, মাসুদ রানা, জাকির হোসেন, পাকের আলী গ্রামের শরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মাহামুদপুুর গ্রামের তইফুল ইসলাম, কিসমত মাহামুদ গ্রামের শাহবুদ্দীন, হাশমত আলী, রিপন, জামালপুর গ্রামের আবুল হোসেন, বিপুল হোসেন, মিজানুর রহমান, আবু তালেব, ঘোষনগর গ্রামের ইমন আলী, সাইটখালী গ্রামের ফরহাদ, রামনগর গ্রামের মাসুদ রানা। এছাড়া এসময় আরও অনেকে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে চারটি জিআই পাইপ, ৬টি রড, দুইটি শাবল, ২২ টি কাঠের বাট ও দুইটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। পরে জড়িতদের নাম যাচাই বাছাই করে ৪২ জনকে আসামি করে বাঘাপাড়া থানায় মামলা করেন।