নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পড়ানোর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে সদর থানার ওসি শওকত কবিরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় জানান, ওসি শওকত কবিরকে নড়াইল সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে খুলনায় সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সময় সদর থানার ওসি শওকত কবির উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোট-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদা রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- বিছালী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের মালেক মুন্সীর ছেলে মির্জাপুর বাজারের মোবাইল ফোন মেকার শাওন, মির্জাপুর গ্রামের সৈয়দ মিলনের ছেলে অটোচালক রিমন, একই গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ও রহমত উল্লাহ রনি।
নড়াইল জজকোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার বসু বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।
নড়াইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোট-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদা আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত, কলেজেরই একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ভারতের বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে প্রণাম জানিয়ে ১৭ জুন পোস্টটি দিয়েছিল। পরদিন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজের শিক্ষক, ওই শিক্ষার্থীর বাবা ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের কয়েকজন সদস্যকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীকে নিয়ে যেতে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতিতেই অপদস্থ করা হয় শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।