অল্প শ্রম,কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় আগাম জাতের ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার ভুট্টা চাষীরা। আগাম জাতের ভুট্টা চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণ এবং রোগবালাই খুব কম হয়। তাই আগাম জাতের ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

এ মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৭ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা জুড়ে ১৫-১৬টি জাতের ভুট্টার চাষ হয়েছে। উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে আগামজাতের ভুট্টা লাগানো হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জন্য গেছে।

কৃষকরা জানান, অল্প শ্রম, কম খরচ এবং লাভ বেশি হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের। প্রতি শতক জমিতে প্রায় ২ মণ করে ভুট্টা উৎপাদিত হয়। এতে উৎপাদন খরচের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয়। শুধু তা-ই নয়, ভুট্টার কাণ্ড জ্বালানি ও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে এর পাতা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ভুট্টার আটা, মাছের খাদ্য, মুরগির খাবারসহ বিভিন্ন কাজে লাগে বলে জানান তারা।

উপজেলার ভেড়ভেড়ি গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, এবারে দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি। কম খরচে ও স্বল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়। বর্তমান বাজারে চাহিদা ও দাম দুটোই ভালো রয়েছে। আগামী দেড় মাসের মধ্যে ভুট্টা সংগ্রহ ও মাড়াই শুরু হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় বলেন, কম খরচে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা এবার বোরো ধানের জমিতে আগাম জাতের ও অধিক ফলনশীল পুষ্টিসমৃদ্ধ দানাদার জাতীয় ভুট্টা চাষ করছেন। প্রতি বছর তুলনামূলক ভালো ফলন হওয়ায় ভুট্টার চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ থেকে বীজ, সার, কীটনাশক দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করা হয়েছে। জমিতে রোগবালাই দমনের জন্য মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।