ঠাকুরগাঁওয়ে লিচুর মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচু বাগান:-

ঠাকুরগাঁও এ লিচুর মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। তাদের আশা, গত বছর লিচু বিক্রি করে যে লোকসান হয়েছিল তা এ বছর পুষিয়ে উঠবেন।বলে তারা মনে করছেন।

লিচুর বাগান হিসেবে এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়েছে ঠাকুরগাঁও এর গোবিন্দনগর এলাকা । এই জেলায় উৎপাদিত সুস্বাদু ও রসালো ফল লিচুর সুনাম এখন দেশ-বিদেশে। এরই মধ্যে জেলার লিচু বাগানের গাছগুলো ছেয়ে গেছে মুকুলে। তবে কৃষকরা বলছেন- চলতি বছর একটু আগেই মুকুল এসেছে।

 

মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তারা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তাদের আশা, গত বছর লিচু বিক্রি করে যে লোকসান হয়েছিল তা এ বছর পুষিয়ে উঠবেন। কৃষিবিদরা বলছেন, এবার শীত দীর্ঘায়িত হওয়ায় ও তাপমাত্রা কম থাকায় গাছের বৃদ্ধি কম হয়েছে। তাই এবার পুস্পমঞ্জুফরী আগাম এসেছে।

এ জেলায় বোম্বাই, চায়না-থ্রি, বেদেনা, কাঠালী, হাড়িয়াসহ কয়েক জাতের লিচুর ফলন হয়। পরিপক্ক মৌসুমে এসব লিচু, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

সাধারণত মার্চ মাসের প্রথম দিকে লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করে। আর লিচুর মুকুল ফুটে মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পরে। তবে চলতি মৌসুমে প্রায় ১৫ দিন আগেই মুকুল এসেছে। ইতিমধ্যেই অনেক গাছের মুকুল ফুটতেও শুরু করেছে। কৃষকরা এবার ভাল ফলনের পাশাপাশি ভাল দামেরও আশা করছেন। গত বছরে যে সময় লিচু পরিপক্ক হয়ে বাজারে উঠেছিল ওই সময়টা ছিল রমজান মাস। তাই অনেকেই আশানুরুপ দাম পাননি, অনেকেই সেবার লোকসান গুনেছেন।

গোবীন্দনগর এলাকার লিচু চাষি লুৎফর রহমান(বাবু ) বলেন, লিচুর মুকুল থেকে ফুল ফুটতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে। সেই ফুল থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ লিচুর আকার পেতে সময় লাগে আরও ৩০ দিন। সেই আকার থেকে পরিপক্ক হয়ে বাজারজাত করতে সময় লাগে ৩৫ থেকে ৪৫ দিন। মুকুল থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত লিচুর জাত ভেদে প্রায় তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগে।

সদর গোবিন্দনগর লুৎফর রহমান (বাবু) বলেন,

মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই পরিচর্যা শুরু করেছি, সেচ দিয়েছি। সারের পাশাপাশি কীটনাশক ও বালাইনাশকও প্রয়োগ করেছি। লিচুর মুকুল এবার কিছুদিন আগে এসেছে।

তিনি বলেন গত বছর পোকার আক্রমনের কারণে ফলন একটু কম হয়েছিল। আর রোজার কারণে দাম তেমন ওঠেনি। ফলে লাভও তেমন হয়নি।

সদর গোবিন্দনগর লুৎফর রহমান (বাবু) বলেন, আমার ১০০টি লিচু গাছ আছে। গত বছর কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের তেমন খোঁজ-খবর নেননি। ফলে আমরা পোকার আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।