শ্রমিকের মজুরি ৭০০,ধানের দাম প্রতি মণ ৬০০
ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের ধারা,বাজার বাসট্যান্ড এলাকায় প্রতি বছরের মতো এবারও নিয়মিত শ্রমিকদের হাট বসছে।প্রথম দিকে শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা থাকলেও তা এখন বেড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করা হয়েছে। সঙ্গে দিতে হচ্ছে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার দিয়ে শ্রমিকদের ধান কাটার জন্য মালিকের নিতে হয়। এছাড়া সম্প্রতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কাতেও শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।হালুয়াঘাটের ধারা,বাজারের শ্রমিক হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত এই শ্রমিক হাট বসে। এখানে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন শ্রমিক আসেন। কৃষকরা সকালে এসে চাহিদা অনুযায়ী মজুরি নির্ধারণ করে শ্রমিক নিয়ে যান। যেদিন বাজারে শ্রমিক কম আসে সেদিন শ্রমিকের মূল্য ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। শ্রম বিক্রি করতে হাটে আসা শ্রমিক রাসেল মিয়া বলেন, কৃষকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করাতে চান। তীব্র গরমে কাজ করা খুব কষ্টের। শেষ পর্যায়ে এসে বিলের পানিতে ধান কাটতে হয়। তাই, এখন বেশি মজুরিতে কাজ করি।
হাটে শ্রমিক নিতে আসা কৃষকরা জানান ধানের দাম কম থাকায় শ্রমিকদের দিয়ে ধান কাটাতে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
হালুয়াঘাটে বাজারে ধানের দাম সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি মণ শুকনা আঠাশ ধান ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রায় একই দামে ঊনত্রিশ ধান। মোটা ধান ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।
জেলার সদরের চর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখানেও শ্রমিকের দৈনিক শ্রমমূল্যও প্রায় এক মণ ধানের দামের সমান। চর এলাকাতেও কৃষকরা শেষ পর্যায়ে এসে ধান কাটার শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় চর ঈশ্বরদিয়া এলাকার কৃষক জমশেদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এক মণ ধান বিক্রি করে একজন শ্রমিক পাওয়া যায় না। একদিকে ধান কেটেছি, অন্যদিকে ধান বিক্রি করে শ্রমিকের দৈনিক মজুরি দিয়েছি। এমন করতে করতে সব ধান বিক্রি করে দিয়েছি।’
কৃষক মোশাররফ মিয়া বলেন, ৪ কাঠা (৪০ শতাংশ) জমির জমির ধান কেটেছি ৩০০ হাজার টাকায়। ধান বিক্রি করে শ্রমিকের মজুরি ও ক্ষেতের মালিকের ধান দিয়ে সব শেষ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।