গাজীপুরের শ্রীপুরে গোয়েন্দাদের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ১৫০ পিছ গজারী গাছ উদ্ধার করা হয়।
যেখানে দশ বছরে বনভূমি ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা সেখানে প্রশাসনের এমন অভিযানে থাকলেও সর্বশেষ মামলা দিয়েই দায় সারছেন বনবিভাগ।
২৮ এপ্রিল বুধবার রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় এক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীপুর রেঞ্জের গোসিংঙ্গা বিটের আওতাধীন গোসিংঙ্গা রাজাবাড়ি রোডে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৫০ পিছ অবৈধ গজারী গাছ জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন শ্রীপুর।
এ সময় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শ্রীপুরের এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান দীর্ঘদিন যাবৎ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে গোসিংঙ্গা অঞ্চলের সরকারি বন থেকে প্রতিনিয়ত গাছ কেটে অবৈধভাবে পাচার করে আসছিলো।
এমতাবস্থায় আমাদের গোপন এক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য রাত আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গোসিংঙ্গা এলাকায় রাজাবাড়ি রোডে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ গজারী গাছ জব্দ করি।
পাশাপাশি বিষয়টি নিয়মিত মামলা হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন
কাদের ইচ্ছে ছিলো
আগামী দশ বছরে বন ধ্বংসের? এবং কি ছিলো সেই কৌশল :-
১. শালবনে আগুন দিয়ে গাছ পোড়িয়ে ফেলা।
২.গাছ কেটে বিক্রি করা ছিলো বন ধ্বংসের অন্যতম কৌশল।
৩. পোড়া শালবনের পতিত জমিতে আকাশ মনি গাছের বনায়ণ
৪. বনায়নকৃত বন পাহারার নামে বনের জমিতে অস্থায়ী ঘরবাড়ী স্থাপন করা ও করতে সহযোগিতা করা।
৫. অস্থায়ী ঘরবাড়ীর স্থলে স্থায়ী ঘরবাড়ী নির্মাণ। পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ঠিকাদারকে দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের হুমকি ও মালার ভয় দেখানো।
৬. বিভিন্ন সময়ে বন ধ্বংসকারী অসাধু ব্যক্তিদের প্রতিবাদ করায় ইচ্ছে মতো সাধারণ নিরীহ মানুষদের উপর তদন্ত ছাড়াই মামলা দিয়ে সকল দায় সারছেন বনবিভাগ।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গোসিংঙ্গা ফরেস্ট বিট অফিসার মীর বজলুর রশিদ কে একাধিক বার মোবাইলে কল দিলেও গণমাধ্যম কর্মীদের কোনও কল তিনি রিসিভ করেননি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।