রসালো ফল আম। কাঁচা অথবা পাকা তা কার না পছন্দ..!
আম তো পরে’ আগে আমের মুকুল। শীতকাল প্রায় শেষের দিকে এরই মধ্যে দিনাজপুরের খানসামায় আম গাছের ডালে হিমেল হাওয়ায় দুলছে আমের মুকুল। এখন সময়ের ব্যবধানে তা আরও বাড়ছে। গতবছরের চেয়ে এবছর আমগাছে মুকুলের পরিমাণ কিছুটা বেশি। গাছে গাছে ফুটছে আমের ছোট বড় অনেক মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের ঘ্রাণ।
আমচাষি এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর একারণেই আশায় বুক বেধে আমচাষিরা শুরু করেছেন পরিচর্যা। তাদের আশা, চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বাগান ও বসতবাড়ি সহ প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই ছোট বড় অনেক মুকুল। ঐসব আমগাছে পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। আমগাছের ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে আমেরমুকুলে। এযেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে মুকুলে আছে গাছের প্রায় প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন।
এবার মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আমবাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে।
উপজেলার কয়েকজন আমচাষী বলেন, এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ আম গাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের বাগানের অধিকাংশ গাছ-ই এরইমধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে ফুটছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তারা আমের বাম্পার ফলন পাবেন বলে তারা আশা করছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।