খুলনার পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বোরো আবাদ। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি করায় খরচের পরিমাণ বেশি হয়েছে। অনেকেই সরল সুদে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করছে বলে জানান চাষিরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৯শ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার স্থলে বোরো আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৬২২ হেক্টর জমিতে।
ইতোমধ্যে শতভাগ রোপনের কাজ শেষ হয়েছে। কৃষকরা এখন ফসল পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। পুরুষের পাশাপাশি বোরো চাষাবাদে এলাকার নারীরা এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা জানান, চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৬২২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
যার মধ্যে ২ হাজার ৪১২ হেক্টর ব্রি ধান-২৮, ১ হাজার ১৩৪ হেক্টর ব্রি ধান-৬৭, ১৯০ হেক্টর ব্রি ধান-৫৮, ৭৫ হেক্টর ব্রি ধান-৫০, ২৩ হেক্টর ব্রি ধান-৮৮, ৩০ হেক্টর ব্রি ধান-৭৪, ৫০ হেক্টর ব্রি ধান-৮১, ২১ হেক্টর ব্রি ধান-৭৭, ১২ হেক্টর ব্রি ধান-৭৮, ১০ হেক্টর ব্রি ধান-৯৯, ৩ হেক্টর ব্রি ধান-১০০, ৩০ হেক্টর ব্রি ধান-৬৩, ১৫ হেক্টর ব্রি ধান-৯২, ১৫ হেক্টর বিনাধান-১০, ১৫ হেক্টর বিনাধান-১৪, ১৫ হেক্টর বিনাধান-২৪।
উন্নত জাতগুলোর মধ্যে হাইব্রিড হিরা ১৪১ হেক্টর, শক্তি-২-৮৬ হেক্টর, তেজগোল্ড ১৪৩ হেক্টর, সিনজেন্টা-১২০৩- ২২২ হেক্টর, এসএল ৮ এইচ ২৯৫ হেক্টর, এম এস-১- ৩২৫ হেক্টর ও এসিআই-১- ৩৬০ হেক্টর।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন। এদিকে কৃষকরা জানিয়েছেন সরকারের নির্ধারিত মূল্য থেকে সারের বস্তাপ্রতি তিনশত থেকে শুরু করে চারশত টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া হচ্ছে। যার ফলে খরচের পরিমাণ বেড়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।