বাঘারপাড়া (যশার) থেকে আজম খানঃ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৫ গ্রামের প্রায় দেড় হাজার কৃষক ভোগের বিলের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য দীর্ঘদিন যাবত বারবার দাবী জানালেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা না পেয়ে ভূখা থাকার আশংকায় নিজেরাই খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছেন।

উক্ত বিল সরোজমিনে পরিদর্শনে জানা যায় জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে কৃষকরা ফসল ফলাতে পারেন না। বৃষ্টির পানিতে চাষের সব জমি তলিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী খাল খননের দাবি জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খননের কাজ শুরু করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
কই মাছের জন্য বিখ্যাত বাঘারপাড়ার ‘ভোগের বিল’ এর জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বর্তমানে এ বিলের প্রায় এক হাজার বিঘা জমি রয়েছে পানির নিচে। পানি না সরাতে পারলে চরোম ক্ষতির মুখে পড়বেন পাঁচ গ্রামের প্রায় দেড় হাজার কষক পরিবার। যে কারণে মঙ্গলবার স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খননের কাজ শুরু করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। এর আগে এলাকায় মাইকিং করে খনন কাজে অংশ নেওয়ার আহবান জানানো হয়।
এতে অংশ নেন অর্ধ শতাধিক কৃষক। দিনব্যাপি চলে তাদের এই কর্মযজ্ঞ। কিছুটা হলও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান তারা।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শেখেরবাতান, সদুল্যাপুর, ধুপখালি, শালবরাট ও আজমেহেরপুর গ্রাম নিয়ে ভোগের বিলের অবস্থান।
শেখের বাতান গ্রামের কৃষক কওছার মোল্যা জানান, ভোগের বিলে ১০ বিঘা জমি রয়েছে তার। পানি জমে থাকায় চাষের প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। গত বছর বর্ষা কম থাকায় কিছু জমিতে চাষাবাদ করতে পারলেও এবার চাষ করত পারবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।

একই এলাকার কৃষক হারুন-অর-রশিদ বলেন,‘বাপ দাদার আমল থেকে ক্ষতির উপর আছে এ এলাকার চাষীরা। যে বছর বর্ষা কম হয় সে বছর কিছু জমি চাষ চাষাবাদ হয়। আর বশি হলে হাজার হাজার বিঘা জমি পানিত ডুবে যায়।’

ধুপখালি গ্রামের কৃষক শফিয়ার রহমান জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন করার কারণে উপরের কিছু জমিতে চাষাবাদ করা যাবে।তবে নিচু জমিত পানি থাকায় চাষ করা যাচ্ছে না। তার তিন বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।

স্থানীয় রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর রশিদ স্বপন বলেন,‘ভোগের বিল’ এর পাশে যে নালা রয়েছে সেটি ব্যক্তি মালিকানার হওয়ায় সরকারিভাবে খনন কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে আমি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।’