রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার কৃষি অফিসারের নিয়মতান্ত্রিক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়,পবা উপজেলার দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলামের নিয়ম তান্ত্রিক ও ভালো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে কতিপয় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখে জনৈক রফিকুল ইসলাম, পিতা এরশাদ আলী , জেলা রাজশাহী লেখা একটি অভিযোগ পত্র দেয়া হয় পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।
এতে অনুলিপি হিসেবে লেখা আছে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, কৃষি সচিব সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজনের পদবী। নিচে একটি ভুয়া মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে একটি ডিজিট কম আর ঠিকানাটিতে শুধু জেলার নাম লেখা।
এরপর এই ভূয়া চিঠিটি বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর হাতে পৌঁছে দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
চিঠিতে কৃষি প্রনোদনার টাকা আত্মসাৎ সহ বেশ কিছু মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।
কৃষকরা বলছে,পবায় উপজেলায় কৃষকরা তাদের প্রাপ্য প্রণোদনা পেয়েছেন সঠিকভাবে। বর্তমান কৃষি কর্মকর্তা সঠিক প্রক্রিয়ায় কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন কৃষক আব্দুল মতিন।
এ বিষয়ে পবার কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রথমত যে সব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কৃষি প্রণোদনার সব কিছুই প্রদানের পূর্বে ইউএনও স্যার কে দেখিয়ে নেয়া হয় এবং বেশীর ভাগ সময় তাঁর উপস্থিতিতেই এসব বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয়ত চিঠিটি ভুয়া নাম ঠিকানা দিয়ে করা। যাদের হদিস পাওয়া সম্ভব নয়। তবে আমার অনুমান আমাদের অফিসের কয়েকজন অসাধু কর্মচারির অনৈতিক কাজের শাস্তি দেয়া হয়েছে,তারাই আমাকে এখান থেকে সরানোর জন্য এরকম ষড়যন্ত্র করছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।