জি এম টিপু সুলতান, যশোর সংবাদদাতাঃ- অভয়নগরের পায়রা ইউনিয়নে বারান্দি মৌজার গয়ারমাঠ, মহিষেরকুড় সহ আশপাশ এলাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায় গয়ারমাঠ ও মহিষ কুড় চলতি বোরো মৌসুমে অন্য বছরের তুলনায় এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, বিএডিসি যশোর এর সহযোগীতায় এ মৌসুমে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে সেচ প্রকল্পে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বোরো আবাদ নিশ্চিত হয়। বিগত ১০/১২ বছর যাবৎ যা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন আশাতিত।
এখানে একটি সেচ কমিটি আছে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে ভালো ফসল ফলানে সম্ভব হয়েছে। সেচ প্রকল্পের সভাপতি শেখ মণিরুজ্জামান জানান, বিগত ১০ বছর ধরে ভবদহের করাল গ্রাস থেকে বাঁচার জন্য বিএডিসি যশোরের সহযোগীতায় আমরা প্রতি বছর বোরো ধান ঘরে তুলতে পারছি। আমাদের সেচ পাম্প ও অন্যান্য সহযোগীর তার জন্য আমরা বিএডিসি যশোরের নিকট কৃতজ্ঞ।
সেচ প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বিশ্বাস, সহ সাধারন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম ইমন হিসাব রক্ষক মাওঃ মোঃ আছোর আলী সহ কৃষক ও সুধী জনদের সাথে মত বিনিময় কালে জানা যায়, কৃষক শাইদুর ইসলাম জানান আমি দেড় বিঘা জমিতে হীরা ধানের চাষ করেছি যা অন্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো।
তিনি আরো জানান সেচ কমিটি আমাদের কম মুল্যে পানি সেচ দেওয়া সহ আমাদের সমসময় দেখাশুনা করেছে। সেচ কমিটির সহ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম (ইমন) জানান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম ও বিষ্ণুপদ দত্তের ঐকান্তিক চেষ্টায় আমরা সেচ প্রকল্পের আওতায় বোরো ধানের আবাদ করার স্বপ্ন দেখতে পেরেছি।
সেচ প্রকল্প দেখভাল করার জন্য এটি অডিট কমিটি আছে। যার সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম, ইঞ্জিনিয়র জয়নাল আবেদীন ও মাওঃ বিল্লাল হোসেন শেখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।