বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে “ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের” আওতায় গোদাগাড়ী উপজেলার দুধায় খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে উপকার ভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (০২ জুন) বিকাল ৫টায় চাঁন্দলাই পরগণা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।
সভায় প্রধান অতিথি এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।কারণ এই প্রকল্পটি একনেকের মিটিংয়ে যদি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন না করতেন, তাহলে আজ থেকে পাঁচ বছর পর এই বরেন্দ্র অঞ্চলের জমিতে একটি শষ্য আর উৎপাদন হতো কিনা বৃষ্টির পানি ছাড়া আমি বলতে পারবোনা।আর এই প্রকল্পের কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা অনেক সুফল পাবেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বরেন্দ্র অঞ্চলে এখন মাটির নিচের পানি ডিপ টিউবওয়েল দিয়ে তুলে আমরা ফসল উৎপাদন করতে অভ্যস্ত।আপনার জানেন কিনা জানিনা এক কেজি ধান উৎপাদন করতে মাটির রকম ভেদে প্রায় দুই হাজার থেকে তিন হাজার লিটার পানি লাগে।আস্তে আস্তে আমাদের পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পানি পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।তাহলে করণীয় কি আছে? করণীয় আপনাদের সামনে আসছে, যখন নদী থেকে পানি তুলে বিভিন্ন খালে নিয়ে যাওয়া হবে এবং খাল থেকে আপনারা সোলার পাম্পের দ্বারা পানি তুলে জমি চাষ করতে পারবেন।
গোদাগাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম কামরুজ্জামান বকুলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বিএমডিএ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রকল্প পরিচালক মোঃ নাজমুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিএমডিএ) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, প্রকল্প শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুল ইসলাম, গোদাগাড়ি উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাহিদ হাসান, মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।