মহিউদ্দিন সানি (রূপদিয়া, যশোর থেকে)। দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এবার কৃষক আমনের দাম ভালোই পেয়েছে। সে কারণে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের কৃষকরা উৎসাহ উদ্দীপনায় বোরো আবাদ শুরু করেছে। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা একই সাথে প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
গত মৌসুমের আমন ধানের ভালো ফলন পেয়েছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। প্রতি একরে প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ মণ ধানের ফলন ও মূল্য প্রতিমণ ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে এবার আগ্রহ বেড়েছে। এঅঞ্চলে এবার বোরো মৌসুমে একর প্রতি দেশি ৭০ মণ ও হাইব্রিড ৮০ মণ ধানের ফলন আশা করছেন কৃষকরা।
এ দিকে সকালের শীত উপেক্ষা করে কাঁকডাকা ভোরবেলা থেকে সন্ধ্যা অবধি বোরোর জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ বা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল পাড়া দিচ্ছেন কিংবা জমিতে জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। কেউ সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ করছেন। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হলে বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করবেন তারা।
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের জিরাট গ্রামের চাষি ফারুক বিশ্বাস বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে আমাদের। এবার আমন চাষে করে আমরা লাভবান হয়েছি। সেই আশায় পুরোদমে আবার বোরো আবাদ শুরু করে দিয়েছি। বোরো ধান লাগাতে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়া বোরো আবাদে খরচও বেশি হয়। বোরো ধান লাগানোর পর থেকে তিন-চার দিন পরপর সেচ দিতে হয়। আশা রাখি বোরো আবাদ হলে বেশি লাভবান হবো।
গত আমন মৌসুমে ব্রি-জাতের সোনার বাংলা, ব্রি -আঠাশ, ব্রি -৫১, জিরাশাইল ধানের ফলন ও বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে আবাদ করতে এ অঞ্চলের কৃষকরা বেশি আগ্রহী।
যশোর জেলাব্যাপী সবেমাত্র বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের আবহাওয়ার গড় অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবং গভীর নলকূপগুলো সচল হলে খুব শিগগিরই বোরো ধান রোপণ শেষ হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।