ইকরামুল হোসেন, মনিরামপুর (যশোর) থেকেঃ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার গতবারের তুলনায় এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পাট চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রতিটি জেলার উপজেলায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে দেখা মিলছে হাসির ঝিলিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দেয়া হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। চাষিরা পাট কেটে নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবায় জাগ দেয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে-বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখাগেছে, বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য ২৮০০ টাকা মণ ও নিম্নমানের পাটের মূল্য ২৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ন্যায্য মূল্য পেয়ে চাষিদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের কৃষক মোঃ বিল্লাল হোসেন (৪৫) বলেন, এবার জমিতে পাট চাষ করে ফলনও ভালো হয়েছে এবং অন্য বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লোকসানেও পড়তে হচ্ছে না। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তবে পরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। এবার বাজারে পাটের মূল্য বেশি হওয়ায় আগামী বছর আরও বেশি জমিতে পাট চাষ করব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, তুলনামূলক ভাবে এ উপজেলায় এবার পাটের আবাদ ভালো হয়েছে।
গত বছর এ উপজেলায় পাট চাষ করা হয়েছিল ৪ হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে। সে তুলনায় এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে পাট চাষে মনোযোগী হয়েছেন চাষিরা। পাশাপাশি সোনালী আঁশ পাটের বাজার মূল্য ভাল হওয়ায় আগামীতে এর চাষ বৃদ্ধি পাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।