জার্মানির একটি আদালত শুক্রবার এক ব্যক্তিকে হত্যার পর তার মাংস খাওয়ার অপরাধে সাবেক এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।

২০২০ সালে সেপ্টেম্বরে অনলাইনে একজনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাড়িকে এনে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে তার মাংস খায়। খবর ডয়েচে ভেলের।

বার্লিনের ওই আদালত নরখাদক আর স্টেফান নামে ৪২ বছরের ওই অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। বিচারক ম্যাথিয়াস শার্টজ রায় ঘোষণা করে বলেছেন, ‘আমার তিন দশকের কর্মজীবনে এমন ঘটনা দেখিনি।’

স্টেফানের আইনজীবী আদালতে বলেন, স্টেফান এবং নিহত ব্যক্তি দু’জনেই সমকামী ছিলেন এবং ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়েছিল।

খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে স্টেফান দাবি করেন, ওই ব্যক্তি তার বাড়িতে এসে হঠাৎ মারা গিয়েছিলেন। তারপর তিনি তার যৌনাঙ্গ এবং দেহের অন্য কিছু অংশ কেটে খেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক সেই সাফাই খারিজ করে দেন।

পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, একটি ‘ডেটিং অ্যাপ’-এর মাধ্যমে পরিচয়ের পর স্টেফান ওই সমকামী ব্যক্তিকে নিজের বাড়িতে ডেকে মাদক খাইয়ে গলা কেটে খুন করেন।

সম্ভবত, অপরাধীর ধারণা ছিল মানুষের যৌনাঙ্গ খেলে যৌনক্ষমতা বাড়বে। তাই ‘শিকারের’ যৌনাঙ্গ কেটে খান তিনি।

নিহতদের দেহ টুকরো টুকরো করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন স্টেফান।
২০২০ সালের নভেম্বরে বার্লিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি পার্কে মানুষের হাড় পাওয়ার পরে তদন্তে নামে জার্মানির পুলিশ। নানা সূত্র ধরে গ্রেফতার করা নরখাদক স্টেফানকে।