গফরগাঁও উপজেলা পাগলা থানায় শহীদ নগর গ্রামে জমিজমা বসত ভিটা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ০২.৩০ মিনিটে ধানসিদ্ধ করার সময়ে গভীর রাতে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোছাঃ রমিজা খাতুন (৪২) নামে একজনকে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। বৃহস্পতিবার ২৯/০৪/২০২১ ইং রাতে পাইথল ইউনিয়ন শহীদ নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রমিজা খাতুনের ছেলে জান্নাত মিয়া (২৫) বাদী হয়ে ০২/০৫/২০২১ ইং তারিখে পাগলা থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২/৩ জনের নাম দিয়ে মামলা করেন।

এলাকাবাসী জানান, একই গোষ্ঠীর আঃ রাজ্জাকের সঙ্গে একই গ্রামের রমিজা খাতুনের স্বামী (মৃত্যু) না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে জমাজমি বসতভিটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত বৃহস্পতিবার রাতে আনুমানিক ০২.৩০ ঘটিকায় বাড়িতে এসে রমিজা খাতুনকে গভীর রাতে নিজ বাড়ীর উঠানে ধানসিদ্ধ করার সময় একা পেয়ে, এসময় প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ভেবে চলে যান।

এসময় বাদী জান্নাত মিয়া জানান,খবর পেয়ে আমার স্ত্রী হেপী এবং আমার ভাবী বেবী এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষরা তাদেরকেও মারধর করেন। এতে তারা গুরুতর আহত হন। তাদেরকে গফরগাঁও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রমিজা খাতুনকে গুরুতর বলে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে ঘটনার দুই দিন পড়ে ০২/০৫/২০২১ই তারিখে ১. আঃ রাজ্জাক, (৪৫) ২. মোস্তাফিজুর (২০), ৩. বেদেনা খাতুন (৪২), ৪. মাশরাফি (১৮), ৫. আঃ বাতেন (৬০) ও ৬. সিমন আক্তার (৩৬) কে সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে পাগলা থানায় মামলা রুজু করা হয়। মামলা নাম্বার (৩) ০২/০৫/২০২১ইং। এতে প্রায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষতির দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু হওয়ার ২০ দিন পড়েও একজন আসামীকেও আটক বা গ্রেফতার করতে না পারায়, পাগলা থানা পুলিশের প্রতি এলাকাবাসীর ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা যায়।

উল্লেখিত ঘটনার সাক্ষী আছিয়া বেগম, জালাল উদ্দীন ও মোস্তফা কামাল বলেন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্র উঁচু করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে বিবাদীরা রমিজা খাতুনের বাড়ি ত্যাগ করেন।

পাগলা থানার এসআই নাজমুল হাসান জানান, উক্ত ঘটনায় আসামি ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।