তাজ চৌধুরী, দিনাজপুর: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খাদ্য গুদাম হতে প্রায় ২০ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের চেষ্টায় সম্পৃক্ত খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) এদিব মাহমুদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ২৩ মে রবিবার বিকেলে খানসামা খাদ্য গুদামে চাল আত্মসাত করার চেষ্টার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামকে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে খাদ্য গুদাম সিলগালা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
পরে সন্ধ্যার দিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সাইফুল ইসলাম ও ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম এর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের সমন্বয়ে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সন্দীপ কুমার দাসকে প্রধান করে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ রেজাউল ইসলাম, খানসামা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফিরোজ মাহমুদ, পাকেরহাট ওসি এলএসডি সৌমিত্র বসাককে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ঘন্টাব্যাপী তদন্ত করে প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত ওসি এলএসডি এদিব মাহমুদকে প্রত্যাহার করে পাকেরহাট ওসি এলএসডি সৌমিত্র বসাককে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, সরকারীভাবে ৪০ টাকা কেজি দরে চলমান চাল সংগ্রহ অভিযানে প্রায় ২০ মেট্রিক টন চাল গুদামে সংগ্রহ না করেই বিল উত্তোলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। যার মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। পরে ইউএনও ও সাংবাদিকদের তৎপরতায় অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা বিফলে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা চাল ও ধান সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় খাদ্য গুদাম সিলগালা করা হয়। এর সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে খানসামা ওসি এলএসডি এদিব মাহমুদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টায় জড়িত থাকায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।