- চট্টগ্রামে শিশু মীম হত্যা কান্ডের সাথে জরিত ৮জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর
সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-
দুই বছর আগে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানাধীন বিশ্ব কলোনি এলাকায় ৯ বছর বয়সী শিশু ফাতেমা আক্তার মীমকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ৮ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার এ রায় দেন।
মিম আকবরশাহ এলাকার ফাতেমাতুজ জোহরা হেফজুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা মো. জামাল উদ্দিন ওয়াশিং মেশিনে কাজ করেন। তাদের বাসা ছিল আকবরশাহ এলাকার কনকর্ড সী-ওয়ার্ল্ড’র রাজা কাশেমের কলোনিতে।
২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানাধীন বিশ্ব কলোনি এলাকার ‘আয়শা মমতাজ মহল’ নামের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ মীমের মরদেহ উদ্ধার করে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় পরদিন (২২ জানুয়ারি) রাতে মীমের মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযানে মো. বেলাল হোসেন ওরফে বিজয় (১৮), মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেল (১৬), মো. হাছিবুল ইসলাম ওরফে লিটন (২৬), মো. আকসান মিয়া প্রকাশ হাসান (১৮), মো. সুজন (২০) ও আয়শা মমতাজ মহলের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেফতার করে। আসামিদের মধ্যে বিজয় পতেঙ্গা থানাধীন নারিকেল তলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মানিকের ছেলে, রুবেল কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা কাদের ভূঁইয়ার ছেলে, লিটন মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি আউটশাহী গ্রামের বাসিন্দা মৃত সিরাজুল ইসলামে ছেলে, হাসান সিলেটের জগন্নাথপুর থানার সোনামঞ্চ এলাকার বাসিন্দা আরজু মিয়ার ছেলে এবং সুজন কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার দৌলখাঁ বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে। তারা সবাই নগরীর আকবর শাহ এলাকার বাসিন্দা।
ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি মামলার পাঁচ আসামি মো. বেলাল হোসেন ওরফে বিজয়, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেল, মো. হাছিবুল ইসলাম ওরফে লিটন, মো. আকসান মিয়া ওরফে হাসান ও মো. সুজন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
সেসময় পুলিশ জানায়, মায়ের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে শিশু ফাতেমা আক্তার মীমকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির মায়ের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আসামি বেলাল হোসেন বিজয়ের মায়ের বিরোধ ছিল। তার জেরেই বিজয় অন্যান্য আসামিদের যোগসাজশে তাকে তুলে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।