ঠাকুরগাঁওয়ে এক পাপিয়ার অপকর্ম ফাঁস, অবশেষে জেলহাজতে 

 

বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ধান খেতে গিয়ে ধরা খেলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের ভাঙ্গাপুল কালিতলা গ্রামের মেয়ে আন্নি আক্তার ও মা আজিমা খাতুন সাথী। পাপিকাকেও হার মানাতে বসেছে আন্নি আক্তার। আদালতে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করেন ওই মা-মেয়েকে।

মামলার সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় আন্নি আক্তার ও আজিমা খাতুন সাথী উভয়েই মা ও মেয়ে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কাজ, মানব পাচার ও উর্তি বয়সের ছেলেসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন। আন্নি আক্তারের বিয়ের কাবিন নামার হাফ ডজনেরও বেশী প্রমান মিলেছে। শাহজাহান আলীর দায়ের করা মামলায় গত ৩১ মার্চ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

স্থানীয়রা জানায় আন্নি আক্তার ও আজিমা খাতুনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, মানব পাচার ও বিভিন্ন অপরাধে আদালতে মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ে জেলও খেটেছেন তারা। তাদের এই সব অপকর্মের পেছনে খলনায়কের ভূমিকায় আছেন একটি বাহিনীর ২/৩ জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা, যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। তাদের এই সকল কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

পিবিআর’র তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় আসামীরা কৌশলে মানুষকে ঠকানোর জন্য একাধিক পিতার নাম ও মামলার নথিপত্রে কোথাও আন্নি আক্তার পাখি আবার কোথাও রোজা নাম ব্যবহার করেছেন।

মামলার বাদী শাহজাহান আলী জানায় আসামীরা বসত বাড়ির জমি বিক্রীর প্রস্তাব দিলে আমি তাদের বাসায় যাই এবং ১ লাখ টাকা বায়নামা দেই। কিন্তু পরবর্তীতে বাকী টাকা চাওয়ার কথা বলে আমাকে ডেকে নিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। এতে ৩ মাস জেলও খেটেছি। পরে আমি বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হই।

বাদী পক্ষের আইনজীবী নাজমুল হোসেন বলেন আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায়। বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।