তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মামলার বাদি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পপি খানম ও একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মাহাবুুবুর রহমান সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। মাহাবুবুর রহমান (৪৩) উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী গ্রামের বাসিন্দা। পপি খানম (৩৬) একই জেলার মধুখালী উপজেলার মহিষাপুর গ্রামের আবুল কাশেম খানের মেয়ে। মাহাবুবুর-পপি দম্পতির তাহমিদ (৬) ও তায়হান (২) নামে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভোর রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, চলতি বছরে ফরিদপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রী পপি খানম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ৩১২/২২। ওই মামলায় শনিবার ভোরে স্বামী খন্দকার মাহাবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালমারী থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি সহকারী শিক্ষক পপি খানম জানান, তাদের বিয়ে হয় ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী মাহাবুব তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো। এজন্য ২০১৯ সালে একবার মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় জেলা শিক্ষা অফিসার মধ্যস্থতায় আপোষ-মীমাংসা হলে মামলাটি তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে পুনরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফরিদপুর নারী ও শিশু আদালতে পুনরায় মামলা করেন পপি। আদালত বিষয়টির তদন্তভার বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পাঠালে তিনি (ইউএনও) বিষয়টির মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্বামী মাহাবুব নাছোড়বান্দা মনোভাবের কারণে ইউএনও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়ে দেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে ফরিদপুর আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।