অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৯ মে ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিন প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ধার্য করেন।

মামলার দুই আসামি শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার এস এম ওয়াই বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়ভাবে সংবাদ পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩০০ গত উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোঁপের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ৩২ বছর বয়সী এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।

মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মৃতদেহের নাম পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

তদন্তকালে জানা যায়, মৃতদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭-৮ টার মধ্যে খুন হন শিমু।

শিমুকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই হারুনুর রশীদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।

 

কলমকথা / সাথী