বিএডিসির ডিডি আড়াইশ কোটি টাকার সম্পদ সম্পত্তির মালিক। তবুও সামান্য সম্পত্তির লোভে ত্রিশালের ছলিম পুরে আপন সহোদর ভাইয়ের জমি জবর দখল করতে স্ত্রী রোজদি বেগম বিথীকে দিয়ে ভাই ভাতিজার নামে ত্রিশাল থানায় মামলা ঠুকে দিয়েছেন। এঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসীর মতে ঘটনা কাল্পনিক হলেও পুলিশী তদন্তে নাকি সত্যতা মিলায়।

মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই ফেরদৌস আলম ২ জনকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করেছেন। যা ত্রিশাল থানার মামলা নং ২৭(৫)২০২১।

মামলার বাদী রোজিদির বেগম বিথী বিগত কয়েক বছর ধরে বাড়িতে যাননা। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ শহরের নয়াপাড়া নিজস্ব বহুতল ভবনের বাসাবাড়িতে থাকেন। ত্রিশালের ছলিমপুর তাদের একটি মৎস্য খামার রয়েছে। সেখানে বাদীর স্বামী মোঃ খলিলুর রহমান ছোট ভাই আব্দুল মান্নানের ৩০ শতকের অধিক জমি জবর দখল করে নিয়েছেন। এ নিয়ে বিরোধ চলছে উভয় পরিবারের মাঝে। এলাকাবাসী জানিয়েছে মামলায় বর্ণিত ঘটনার দিন অর্থাৎ ২১ মে ২০২১ বাকবিতন্ডা ছাড়া কোন ঘটনাই ঘটেনি। অথচ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামীরা বে-আইনী জনতাবদ্ধে অনধিকার প্রবেশ করিয়া মারপিট করতঃ সাধারন জখম, চুরি, ভাংচুর করিয়া ক্ষতি সাধন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুকুম দিয়া সহায়তার অপরাধ।

চোরাই মূল্য ৬০ হাজার টাকা। দক্ষ পুলিশ ঘটনার পর পরই অভিযান চালিয়ে আসামীদের বাড়ি থেকেই ২ জনকে গ্রেফতার শীর্ষে পরিমান মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি! চোরাই মালামাল ছিল ৩শ কেজি আম ও ২৪০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। প্রশ্ন দেখা দেয় মুহুর্তেই অলৌকিক ক্ষমতায় আসামীরা সব গিলে ফেলেছিল? এ ব্যপারে স্থানীয় মেম্বার ও এলাকার বহু সংখক লোকজন বলেছেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে বাক বিতন্ডা হয়েছে ফিসারীর লোকজনের সাথে।

সেখানে রোজদির বেগ বিথী উপস্থিত ছিলেন না। মামলার বাদী দেবরের ছেলে বাবুল মিয়া মোবাইলে ঘটনার বিবরন জেনে মামলাটি দায়ের করেন। কোটিপতি চাচার পক্ষেই বাবুলের অবস্থান। ঘটনা স্থলে বাবুল মিয়া ও বাদীর মানিত স্বাক্ষীরা ঘটনার বর্ননা ভিন্ন ভাবে করেছেন।

যার ভিডিও ধারন করেছেন অনেকে। ভাংচুরের ঘটনা ও ঘটে চিত্র ধারন করেও তার সত্যতা মিলেনি। মামলাটি নিয়ে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান জনগনের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।