স্টাফ রিপোর্টার:মৌলভীবাজারে এক কওমি মাদ্রাসার শিক্ষককে নিয়ে আদালত ও থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। কমিটিকে ডিঙ্গিয়ে ও

ব্যাংক হিসাবে আয়ের টাকা জমা না রেখে নিজের পকেটে টাকা রাখার অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের মীরপুর হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায়।

একটি অভিযোগে বিবাদীর বিরুদ্ধেওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন আদালত। সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও কোষাধ্যক্ষের নামীয় একটি ব্যাংক হিসাবচালু করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (মোহতামিম) আসাদ আল হোসাইন ব্যাংক হিসাবে
টাকা জমা না রেখে নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখছেন। ওই ব্যাংক হিসাবে গেল বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দুবারে মাত্র ৯৪ হাজার ২০০ টাকা জমা হয়েছিল।
এত দিনের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকার অধিক অর্থ আয় হলেও ব্যাংক হিসাবেজমা হয়নি। এতে মাদ্রাসার সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও অন্যান্য সদস্য বার বার ওই প্রধান শিক্ষককে ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা রাখার কথা বললেও তিনি তা কর্ণপাত না করে নিজের কাছেই রেখেছেন। এতে মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাৎ করা
হয়েছে এবং তিনি কমিটির কাছে আনুমানিক প্রায় ১৫ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ছালেহ আহমদ ও গিয়াস উদ্দিন বলেন, তিনি ব্যাংকে অথবা কোষাধ্যক্ষের কাছে মাদ্রাসার অর্থ রাখতে রাজি নন। হিসাবের কথা বললে তিনি উল্টো রেগে যান। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আব্দুল মোছাব্বির বলেন, ‘আমি মনে
করি, উনি মাদ্রাসার দায়িত্ব ছেড়ে দিক, এটাই ভালো হবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আসাদ আল হোসাইন বলেন, ‘যে টাকা নিয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, তা ঢাহা মিথ্যা। আমার কাছে কোনো ক্যাশ নেই।’ সভাপতি-কোষাধ্যক্ষ ও সহ-সভাপতির বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা একে অপরের আত্মীয় বিধায় আমার বিরুদ্ধে এমনটা বলছেন।

মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, আসাদ আল হোসাইন ও মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জিডি মূলে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এর মধ্যে মাওলানা আসাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।