বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রচারণায় ব্যস্থ হয়ে পরছে প্রার্থীরা। শেষ সময়ে নির্বাচনে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
রাত পার হলেই হবে ভোট গ্রহণ। শেষ সময়ে নিজেদের জানান দিয়ে এবং ভোটারদের কাছে নিজেদের যোগ্য ভাবতে বিভিন্ন প্রচার করছেন। প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা ভোটের মাঠে পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও চালাচ্ছেন প্রচারণা। কোন কমতি রাখেনি প্রচারণার।
অপরদিকে ভোটাররাও এবারের নির্বাচনে বেশ কৌশলী। তারাও যাচাই করে নিচ্ছেন প্রার্থীদের। শেষ সময়ে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। ভোটাররা তাদের মুখে কুলুব আটকে রয়েছেন। যেন গোপন কক্ষে গোপনীয়ভাবেই ভোট দিবেন তাদের পছন্দের প্রার্থীদের।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও আলোচনায় রয়েছে দুইজন। তাদের মাঝেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই় হয়ে। আবার সংরক্ষিত আসন-১ এই উপজেলাসহ বকশীগঞ্জ ও ইসলামপুর (আংশিক) নিয়ে গঠিত। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। তবে নির্বাচনী মাঠে মূল আলোচনায় এগিয়ে রয়েছন জালালপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি ও দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সেলিনা আকতার।
কয়েকজন ভোটার নিজেদের নাম গোপন রেখে বলেন, সেলিনা আকতার যেহেতু সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন সেই বর্তমানে যোগ্য প্রার্থী। আমাদের ইউনিয়নসহ আমাদের পাশের ইউনিয়নের ভোটাররা তাকেই ভোট দিবেন বলে মনস্থির করেছেন। সার্বিক ভাবে যেহেতু তিনি তিন উপজেলার ভোট সংগ্রহ করতে পারবেন তাহলে আমরা ভোট অন্য জায়গায় দিয়ে নষ্ট করবো কেনো। তাই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছি। ভোট ফুটবলেই দিব।
উল্লেখ্য যে, গতকাল সন্ধ্যায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম, ইউনিয়নের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও ডাংধরা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান সহ উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১৭ অগাষ্ট জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।