সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ১৭ নেতা দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন। ঢাকায় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ৪-৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।

এই দিকে মনানয়ন পেতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদর অফিস ও বাসায় গিয়ে তদবির করছন একাধিক প্রার্থী। এসময় তারা নিজেদেরর রাজনৈতিক ত্যাগ ও অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। ভোটার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গেও নিয়মিত মোবাইলফোনে যোগাযোগ করছেন। তাদের অনুসারীরা রঙিন পোষ্টা-পেস্টুন দিয়ে ফেসবুকে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক বীর মুক্তিযাদ্ধা মো. শাহজাহান, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা পাটয়ারী, চদ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী,

জেলা ও দায়রা জজ আদালতর সরকারি কৌঁশুলী (পিপি) জসিম উদ্দিন, জেলা স্বেছাসবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন মাস্টার, মামুনুর রশিদ, এস এম শহীদ উল্যা, দেলোয়ার হোসেন, হেদায়েত উল্যা, জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ, মিজানুর রহিম, সৈয়দ মোজাম্মেল হক, ড. আশরাদ আলী চৌধুরী, সৈয়দ আবুল কাশেম।

এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. শাহজাহান বলেন, দল আমার ত্যাগ-শ্রমের মূল্যায়ন করবেন। দুঃসময় আমি হামলা-মামলা, নির্যাতনের মধ্যেও আওয়ামী লীগের হাল ধরেছি। দায়িত্ব পেয়ে দলের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা এই জনপদকে পরিকল্পিতভাবে সমৃদ্ধ করতে কাজ করেছি। তার নির্দেশেই এখানকার জনগণের ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করছি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ইভিএমের মাধ্যম ১৭ অক্টাবর লক্ষ্মীপুরসহ ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। এর মনানয়নপত্র দাখিলর শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর। ১৮ সেপ্টেম্বর বাচাই, ১৯-২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাচাইয়র বিরুদ্ধে আপিল দায়ের, ২২-২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপিল নিস্পত্তি। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারর শেষ দিন। পরদিন প্রতীক বরাদ্ধ।