বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলার বাঘা পৌরসভার নির্বাচন।শেষ মুহুর্তে এসে বাঘা পৌর নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।নির্বাচন বিশ্লেষক আর সুশীল সমাজ এই নির্বাচনকে দেখছেন ক্ষমতা আর জনপ্রিয়তার লড়াই হিসেবে।
নির্বাচনে সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আক্কাস আলী।অপরদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু।
এছাড়াও মেয়র পদে পৌর বিএনপির সভাপতি (সদ্য বহিষ্কৃত) কম্পিউটার প্রতীকে কামাল হোসেন,পৌর জামায়াতের আমির নারিকেল গাছ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম এবং মোবাইল প্রতীক নিয়ে ইসরাফিল হোসেন নামে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রার্থী পাঁচ জন হলেও লড়াই হবে মূলত সরকারি দলেই,অর্থাৎ আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকে পিন্টুর প্রতীক ইমেজ আর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস আলীর তৃণমূলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ভোটারদের বেশীরভাগের অভিমত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে অনেক ভোটের ব্যবধানে আক্কাস আলী নির্বাচিত হবেন।তবে তারা বলছেন প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে নৌকার সাথেই।
আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকের শাহিনুর রহমান পিন্টু বললেন,জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বিবেচনা করলে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের আস্থার প্রতীক নৌকাকে বাঘা পৌরবাসী অবশ্যই নির্বাচিত করবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাস আলী বলেন,দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক জীবন এবং জনপ্রতিনিধিত্ব করে আমার জীবনভর জনসেবাই করে আসছি। আশা করি এ নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভালবাসার প্রতিফলন হিসেবে জগ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন।তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে সকল নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে,বাঘাতেও সেই নির্দেশনার প্রতিফলন ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস।তবে নৌকার প্রার্থী পিন্টু ও তার সমর্থকরা আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করছে,নানাভাবে আমাকে হুমকিধামকি সহ বাধা-বিপত্তিতে ফেলার চেষ্টা করছে এবং সর্বশেষ নিজের অফিস পুড়ানোর নাটকীয় অভিযোগ দিচ্ছে আমার নামে।আমি এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য আবেদন করেছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সব অনিয়মের অভিযোগও দিয়েছি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আবুল হোসেন বলেন,এখন পর্যন্ত কোন উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর অবস্থা ঘটেনি।সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন হবে এবং শতভাগ উপস্থিতি হবে বলে আমরা আশা করছি।নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,বাঘা পৌরসভায় মোট ১১ টি কেন্দ্রে একযোগে ২৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন চলবে।এতে মোট ভোটার ৩১৬৬৯ জন।এর মধ্যে পুরুষ ১৫৮১২ এবং মহিলা ১৫৮৫৭ জন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।